ফড়িং মিডিয়া – অনলাইন ডেস্ক: স্বামী-স্ত্রী কিংবা প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে, তাহলে তো কথাই নেই। এই সম্পর্কে রাগ, মান-অভিমান হবে না তাই কী হয়? সম্পর্ক ভালোভাবে টিকিয়ে রাখতে ছেলেমেয়ে দ্জুনের রয়েছে সমান গুরুত্ব। আর এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে নারীদের কিছু বিষয় এড়িয়ে চলা উচিত।
একতরফা দিয়েই যাবেন না : কোনো বিষয়ে ছাড় দেওয়া বা কোনো কিছু দেওয়াটা অন্যায় কিছু না, বরং এটা সম্পর্কটাকে আরো পূর্ণ করে। কিন্তু প্র্রয়োজনের চেয়ে বাড়তি কোনো কিছু করাটা মোটেও ঠিক নয়।
সঙ্গীকে অগ্রাধিকার দেবেন না : নারীদের মধ্যে এমন প্রবণতা দেখা যায় যে, তারা স্বামী কিংবা ছেলে বন্ধুকে মাত্রাতিরিক্ত অগ্রাধিকার দেয়। এতে নিজের চলার পথটা যে সে নিজেই সংকুচিত করে তা ভাবে না। সঙ্গীর সব সিদ্ধান্তকেই স্বাগত জানানোর প্রয়োজন নেই। কারণ আপনার ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, আপনারও নিজস্বতা রয়েছে। নারীরা পুরুষকে যেভাবে অগ্রাধিকার দেয় পুরুষদের বেলায় তা কিন্তু লক্ষ্য করা যায় না।
প্রতিটা ভুলের জন্যই ক্ষমা করবেন না : কোনো বিষয়ে যদি সঙ্গী একবার ভুল করে তাহলে ধরে নিতে পারেন এ ধরনের ভুল সে আবারও করতে পারে। আর প্রতিটা ভুলের জন্য ক্ষমা করা সম্পর্কের জন্য একটা বিপদ সংকেতও বলতে পারেন। যদি আপনি দেখেন আপনার সঙ্গী বারবার একই রকম ভুল করছে তাহলে এ বিষয়ে আপনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিন। দেখা যায় নারীরা নিজেরা ভুল না করেও শুধু সম্পর্কটাকে টিকিয়ে রাখতে বারবার ক্ষমা করে দেয়। বারবার ক্ষমা করে ভুল আচরণগুলোকে উৎসাহিত করবেন না।
আপনার সমস্ত সময় সঙ্গীর জন্য ব্যয় করবেন না : কথায় আছে, দূরত্ব শুধু দূরেই সরিয়ে দেয় না, এটা ভালোবাসাও বাড়িয়ে দেয়। নারী সচেতনভাবেই ‘আমার সময়টা’কে ‘আমাদের সময়’ বানায়। এটা না করে একান্ত নিজের মতো করে কিছু সময় ব্যয় করুন। তাহলে সংসারটা আর বোঝা মনে হবে না।
নিজের প্রতি যত্নশীল হোন : নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম করলে শরীর ও মন যেমন সক্রিয় থাকবে তেমনি নিজের ইমেজও ঠিক থাকবে। আপনি যদি সঙ্গীর ওপর রাগান্বিত হোন তাহলে সেটা চেপে রাখবেন না। তার সঙ্গে আলোচনা করুন।
নিজ পরিচয় হারাবেন না : নিজের জন্য সময় বের করুন এবং আপনি এমন কিছু করুন যা আপনার নিজস্বতা দেবে। এটা হতে পারে আপনার শখ পূরণ কিংবা অনেক দিন ধরে কিছু করবেন বলে ভাবছিলেন এমন কিছু। আপনার ব্যক্তিস্বত্তা পৃথক পরিচয় দেবে আপনার সঙ্গীর কাছে।
আর্থিকভাবে সঙ্গীর ওপর নির্ভরশীল হবেন না : সঙ্গীর ওপর আর্থিকভাবে নির্ভরশীল হওয়া ঠিক নয়। পুরুষ শাসিত সামাজিক পেক্ষাপট অনুযায়ী, একজন পুরুষ নারীর ভার বহন করে। কিন্তু নারীর উচিত স্বনির্ভর হওয়া।
সব বিষয় জানানোর প্রয়োজন নেই : সঙ্গীর কাছে স্বচ্ছ থাকার জন্য সব সময় সব বিষয় তার সঙ্গে আলোচনার দরকার নেই। থাক না কিছু কথা নিজের জন্য। স্বামী বা ছেলে বন্ধু ছাড়াও এমন অনেকেই আছে যাদের কাছে কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।
বেশি আবেগী হবেন না : স্বামী বা ছেলে বন্ধুর প্রতি বেশি আবেগী হওয়া ঠিক নয়। এটাকে তারা দুর্বলতাও ভাবতে পারে। তাছাড়া পরিবার, বন্ধুদের সঙ্গে কিছু বিষয় আলোচনা করা যেতেই পারে।
অন্ধভাবে বিশ্বাস করবেন না : যেকোনো সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখার জন্য বিশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অন্ধ বিশ্বাসও সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। তাই চোখ কান খোলা রাখা উচিত।