sadi-aফড়িং মিডিয়া – অনলাইন ডেস্ক: হযরত বারিরা বলেন, এক কুমারী মেয়ে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দরবারে হাজির হয়ে অভিযোগ করল—‘আমার সম্পূর্ণ অসম্মতিতে বাবা আমাকে চাচাতো ভাইয়ের সাথে বিয়ে দিয়েছেন। ওকে আমার একদম পছন্দ নয়’। তার অসন্তুষ্টির কথা শুনে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে অধিকার দিয়েছেন—ইচ্ছে হলে বিয়ে বাকি রাখতে পারো আবার ভেঙ্গে দিতে পারো। ফয়সালা শুনে মেয়ে স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলে বলল, বাবার দেয়া বিয়ে আমি ভাঙ্গব না, তবে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম এজন্য যে, মেয়েরা জানুক, বাবার কোনো অধিকার নেই প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেয়ার।

হাদিসখানি হলো,

ولكن اردت ان تعلم النساء ان ليس الي الاباء من الامر شئ

‘কিন্তু আমি চাই নারীরা জানুক; এ ব্যাপারে বাবার কোনো অধিকার নেই।’ [ইবনে মাজাহ]

আব্দুর রহমান বিন ইয়াযিদ ও মাজমা বিন ইয়াযিদ একটা ঘটনা বর্ণনা করেন। খেদাম নামী এক লোক তার মেয়েকে তার অসম্মত্তিতে বিয়ে দেয়। মেয়ে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দরবারে উপস্থির হয়ে নিজের অপছন্দের কথা জানাল। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাবার দেয়া বিয়ে ভেঙ্গে দিলেন। পরে মেয়ে আবু লুবাবা বিন মুনজিরের সাথে বিয়ে বসল। [ইবনে মাজা]

এসকল হাদিস থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরম্নদ্ধে বাধ্য করা যায় না। বরং স্বামী নির্বাচনে তার রয়েছে পূর্ণ অধিকার। পাত্রপাত্রী নির্বাচনের এ অধিকার এজন্য গুরম্নত্বপূর্ণ যেনো বিয়ের আসল মাকসাদ হাছিল হয়। তাদের ইছমত ইফ্ফত, মুহাববত ভালোবাসা ও মানব প্রজন্মের ধারা অব্যাহত থাকে।