ফড়িং মিডিয়া – অনলাইন ডেস্ক: পিঠের ওপর ব্রণ,এটা মনে হয় সবচেয়ে খারাপ একটা পরিস্থিতি! আপনার ত্বকে যদি ব্রণ হওয়ার প্রবণতা থাকে, তবে শুধু মুখে নয়, আপনার পিঠেও সেটা হতেই পারে। তবে কিছু ঘরোয়া উপায় আছে, যেগুলো ম্যাজিকের মত উধাও করে দিতে পারে এগুলোকে। পিঠে ব্রণ হয় তখনই যখন ত্বকের কোষ অতিরিক্ত মাত্রায় তেল নিষ্কাষনের ফলে বন্ধ হয়ে যায়।কখনও আবার মৃত কোষ জমে জমে পিঠে ব্রণর উৎপত্তি ঘটায়।

পিঠে ব্রণ হলে অনেক ঝামেলা!শুতে অসুবিধে বা জামা কাপড় পড়তেও অসুবিধে। যদি আপনি পিঠের ব্রণ থেকে ভোগেন, তাহলে কিছু ঘরোয়া উপষম পদ্ধতি জেনে নিন। চট করে দেখে নিন কি কি করবেন!

১. শশা

শশা ত্বককে আদ্র রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া ত্বকের আবর্জনাও সরায়। নিয়মিত ব্যবহার করলে এটা বন্ধ হয়ে যাওয়া কোষগুলোকে খুলে দেয়। একটা শশার টুকরো নিন, তারপর সেটা গোলগোল করে কাটুন পাতলা করে। এবার এটা বেটে একটা মিশ্রণের মত বানান। পিঠে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। তারপর ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন।

২. পেঁয়াজ

কোন কারণে ফুলে যাওয়া বা ভাইরাস দমন, এসবেই পেঁয়াজ খুব কাজের এবং পিঠের ব্রণ সারাতে উপকারি। এটা শুধু পিঠের ব্রণ সারায় তা নয়, এটা দাগও কমায়। দুটো সাদা পেঁয়াজ নিন, তার রসটা বের করে নিন। এবার এতে এক ফোঁটা লেবু ও মধু মেশান। এবার এই মাস্কটা ত্বকের ওপর মাখিয়ে, মিনিট ১৫-২০ পরে ধুয়ে ফেলুন।

৩. আনারস

আনারসে আছে ব্রোমিলেন। এটা কোন কারণে ফুলে গেলে সেটা কমাতে সাহায্য করে। এটা ব্রণ সারাতে খুব ভাল কাজ করে। কিছু আনারসের ফালি নিন, তারপর তার রসটা বের করে নিন। এবার এই রসটা তুলো দিয়ে পিঠে লাগান, পরে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতিটা দিনে দুবার করে করুন, দেখবেন পিঠের ব্রণর সমস্য কমে গেছে।

৪. জায়ফল

ফাংগাস রোধ,ব্যাকটেরিয়া রোধ বা কোন ফুলে যাওয়া জায়গা সারাতে জায়ফল খুব ভাল। এর ফলে যে কোন রকমের ব্রণ ত্বকে এটা খুব কাজ করে। এটা ছাড়াও এতে থাকা এ্যাস্ট্রিন্জেন্ট ক্ষমতা, এটা ত্বকে ব্রণর দাগ কমায়। একটু জায়ফল গুঁড়ো নিয়ে, তার সাথে মধু ও দারচিনি পাউডার মেশান। এগুলো ভাল করে মিশিয়ে ব্রণর জায়গায় লাগান এবং পরে ধুয়ে ফেলুন।

৫. কমলা লেবুর খোসা

এটা একটা অন্যতম সহজ উপায় পিঠের ব্রণ সারাতে। কমলা লেবুর খোসা নিয়ে রোদে শুকিয়ে নিন।এবার খোসাগুলো গুঁড়ো করে নিন।এবার এতে এক চামচ হলুদ ও মধু মেশান এই গুঁড়োর সাথে। মিশ্রণটা আপনার পিঠে লাগান। তারপর ১০ মিনিট পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৬. টমেটোর কথ্য

টমেটোর কথ্যর দারুণ কাজ করার ক্ষমতা পিঠের ব্রণ বা ব্রণর দাগের ওপর। এর ক্ষারীয় গুণের জন্য, এটা সহজেই ব্রণর ওপর কাজ করে। একটু টমেটো কেটে, সেটার রস বের করে একটা কথ্য মত বানান। এবার এই রসটা পিঠে লাগান এবং ৩০ মিনিট পরে সেটা ধুয়ে ফেলুন।

৭. মূলতানী মাটি

তৈলাক্ত ত্বকের বাড়তি তেল শুষে নিতে সাহায্য করে মূলতানী মাটি। এটা বন্ধ কোষ খুলতে সাহায্য করে, যার ফলে পিঠের ব্রণ সারাতে সাহায্য করে। যদি মনে করেন তাহলে মূলতানী মাটির সাথে চন্দনগুঁড়ো ও গোলাপ জল মেশান, একটা মিশ্রণ বানান। এটা দিনে ২-৩ বার ব্যবহার করুন। পিঠের ব্রণ সারাতে দারুণ কাজে দেবে।

৮. লেবুর রস

লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিডের জন্য লেবু পিঠের ব্রণ সারাতে খুব কাজে লাগে। এতে থাকা এ্যাস্ট্রিন্জেন্ট, চট করে ব্রণর দাগ মেটায়। একটা লেবু নিয়ে দুভাগ করুন। লেবুর রসটা বা লেবুটা পিঠে ঘষুন। রসটা পিঠে শুকোতে দিন, তারপর ধুয়ে ফেলুন। লেবুর রস ত্বকের পি এইচ মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

৯. বেকিং সোডা

স্বাভাবিক ভাবে মৃত কোষ তোলার ক্ষমতার জন্য বেকিং সোডা পিঠের ব্রণ সারাতে খুব ভাল কাজ করে। একটু বেকিং সোডা জলে মেশান। দুটোকে ভাল করে মেশান। ভাল করে মিশিয়ে এটা ব্রণর জায়গায় লাগান।