Romantic dance at sunset by couple in swimsuit
Romantic dance at sunset by couple in swimsuit

ফড়িং মিডিয়া – অনলাইন ডেস্ক: দিনকাল যা পড়েছে, মানুষের জীবনযাপনে অনিয়ম প্রচুর। সবকিছুতেই এর কু’প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এখন বললেই সন্তানধারণ হয় না। অনেকসময় অতিরিক্ত গর্ভনিরোধক পদ্ধতি অবলম্বন করার কারণে প্রেগন্যান্সিতে সমস্যা তৈরি হতে পারে। ভেজাল খাবার, অ্যালকোহল, ধূমপানের কারণেও সন্তানধারণে বাধা আসতে পারে। ফলত, সন্তানধারণে সমস্যার জন্য অনেক দম্পতিকেই দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে। এই সমস্যার সমাধানে ৮টি সেক্স পজ়িশন মেনে চলুন।

কিন্তু তার আগে কয়েকটা কথা বলা দরকার। প্রেগন্যান্সি নিতে চাইলে ডিম্বস্ফোটন বা ওভিউলেশনের সময় নিয়মিত মিলিত হলে কার্যকরী ফল পেতে পারেন। কেননা, সেটাই হল গর্ভধারণের আদর্শ সময়। এছাড়া, আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, যে ৮টি সেক্স পজ়িশন আছে, যার ফলে প্রেগন্যান্ট হওয়া সহজ। সেই ৮টি পজ়িশন গভীর পেনিট্রেশনে সাহায্যে করে, অরগ্যাজ়ম হয় সহজে, ফলত পুরুষের বীর্য সহজেই প্রবেশ করতে পারে জরায়ুতে। এর জন্য ফোরপ্লে (ক্লাইম্যাক্সের আগের ক্রিয়াকলাপ) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

মিশনারি : চিৎ হয়ে শুয়ে থাকতে হবে সঙ্গিনীকে। সঙ্গী থাকবে তাঁর উপরে। এইভাবে মিলিত হলে পেলভিস বেঁকে যাবে না। ফলত, বীর্য সার্ভিক্সের অনেক কাছে চলে আসবে। এতে সঠিক পদ্ধতিতে পেনিট্রেশন হতে পারে। অনেকের বক্তব্য সঙ্গিনীর নিতম্বের নিচে একটি বালিশ রাখলে আরও সুবিধে।

ডগি স্টাইল : সমীক্ষা বলছে, পুরুষদের অত্যন্ত প্রিয় পজ়িশন এটি। পুরুষকে সহজেই উত্তেজিত করতে পারে। গর্ভধারণেও খুব সুবিধে। পেনিট্রেশনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে সার্ভিক্স খুলে যায় অনেক সহজে।

গ্লোয়িং ট্রাইঅ্যাঙ্গেল : এই পজ়িশনে পেলভিস উপরের দিকে উঠে আসে। পেনিট্রেশন গভীর হয়। নিতম্বের নিচে একটা বালিশ রাখলে ভালো। তাতে পেনিট্রেশন আরও ভালো হতে পারে।

দা রক : অনেকটা মিশনারির মতোই। গভীর পেনিট্রেশনের জন্য এটিকে বলা হয় গর্ভধারণের আদর্শ পজ়িশন। পেনিট্রেশনের সময় সরাসরি মহিলাদের G-স্পট (অরগ্যাজ়মের অন্যতম স্থান) স্পর্শ করে। ফলে অরগ্যাজ়ম হয় সহজেই। পেশির গতিবিধি বেড়ে যাওয়ার কারণে বীর্য যথাস্থানে পৌঁছাতে পারে।

ম্যাজিক মাউন্টেন : অনেকটা ডগি স্টাইলের মতোই। এক্ষেত্রে পুরুষ সঙ্গী ঝুঁকে থাকে সামনের দিকে। সঙ্গিনী কোমরের দিকে মাথা নামিয়ে রাখে। বালিশের ব্যবহার কমিয়ে দিতে পারেন। একে পেলভিস বেঁকে যাবে। তাতে আরও সুবিধে হতে পারে। এই পজ়িশন গর্ভধারণে সত্যি ম্যাজিকের মতোই কাজ করতে পারে।

স্পুনিং : বিছানায় সহিলা সঙ্গীকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরার কারণে চামচের আকার ধারণ করে। পুরুষের বীর্য সার্ভিক্সে পৌঁছোয় সহজেই, কেননা পেলভিস ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ঘোরানো থাকে।

প্লাও : দু’হাতে ভর করে ব্যালেন্স দরকার। পুরুষ হাতে ভর দেয়। মহিলার পা দুটি আকাশে ভাসে। এভাবে মিলিত হলে অনেক গভীরে পেনিট্রেশন হতে পারে।

বাটারফ্লাই : এর জন্য প্রয়োজন খাবার লম্বা টেবিল। মহিলা চিৎ হয়ে শুয়ে থাকবে টেবিলের উপর। দু’হাত দিয়ে নিতম্ব তুলে ধরে মিলিত হবে পুরুষ। এতে পেনিট্রেশন ভালো হতে বাধ্য।

এতকিছুর পর আরও একটা ব্যাপার খেয়াল করতে হবে। যেভাবেই সেক্স করুন না কেন, সবশেষে বিছানায় শুয়ে থাকুন আধঘণ্টা। সঙ্গে সঙ্গে উঠে পড়বেন না। বীর্য যতক্ষণ না জরায়ুতে পৌঁচ্ছছে অপেক্ষা করুন। উঠে পড়লেই সব মাটি!

সূত্র: ইনাদুইন্ডিয়া