footফড়িং মিডিয়া – স্বাস্থ্য ডেস্ক: অনেক কারনেই পা ফুলে। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে থাকলে অথবা দীর্ঘ ভ্রমণে পা ফুলে যেতে পারে। একটানা দাঁড়িয়ে বা বসে থাকার মাঝে বিরতি দিতে হবে। অনেকক্ষণ বসে কাজ করলে পায়ের নিচে টুল দিন। বসে বসেই পায়ের আঙুলগুলো মাঝে মাঝে নাড়াতে পারেন।

কিডনির জটিলতায় প্রথমে মুখে পানি আসে, তারপর পা ফোলে। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের পায়ে পানি জমলে কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত। যকৃতের সমস্যায়ও পায়ে পানি আসে, সঙ্গে পেটও ফুলে যেতে পারে। জন্ডিস, শারীরিক দুর্বলতা, ওজন হ্রাস, অরুচি থাকতে পারে। হৃদ্রোগজনিত কারণে পায়ে পানি এলে সঙ্গে থাকে বুক ধড়ফড় ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা। থাইরয়েড হরমোনের সমস্যায় পা ফুলতে পারে। ওজন বৃদ্ধি, অনিয়মিত মাসিক, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি থাকলে থাইরয়েড পরীক্ষা করান।

তা ছাড়া মারাত্মক রক্তশূন্যতা বা অপুষ্টি, ফাইলেরিয়া, ভেরিকোস ভেইন, পেটের টিউমার, পায়ে আঘাত বা সংক্রমণের ফলে পা ফুলতে পারে।

গর্ভাবস্থায় পা ফোলা স্বাভাবিক। কিন্তু এর সঙ্গে প্রস্রাবে অ্যালবুমিন গেলে এবং উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিলে তা চিন্তার কারণ হতে পারে। তাই সমস্যাটি চিকিৎসককে জানান। কিছু ওষুধ (যেমন: ব্যথানাশক, ইনসুলিন, উচ্চ রক্তচাপে ব্যবহৃত ওষুধ, জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি) গ্রহণের প্রভাবেও পায়ে পানি আসতে পারে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ পরিবর্তন করতে হবে। শরীরের বাড়তি ওজন কমান। কেবল ওজনের কারণেও পা ফুলতে পারে। কারণ যা-ই হোক না কেন, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।