ফড়িং মিডিয়া – অনলাইন ডেস্ক: প্রতিটি মানুষই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা করে থাকেন। কিন্তু এর মাত্রা বেশি হলে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে। তাই সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন যাপনের বিকল্প নেই। জেনে নিন কি উপায় অবলম্বন করলে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকবেন।
১. ইতিবাচক চিন্তা: সবসময় ইতিবাচক চিন্তা করুন। ইতিবাচক চিন্তা মানুষকে দুশ্চিন্তামুক্ত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। আর নেতিবাচক চিন্তা মানুষের অস্থিরতাই কেবল বাড়িয়ে দেয়।
২. বিপদে অধৈর্য না হওয়া: মানুষের জীবন সব সময় এক রকম যায় না। কখনও সুখ আসে, আবার কখনও দু:খ! জীবনের নানা পরীক্ষায় কখনও কখনও সমস্যারও মুখোমুখি হতে হয়। তখন মাথা ঠাণ্ডা রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিপদে ধৈর্য না রাখলে পরিস্থিতি প্রতিকূলে যেতে পারে। আর তা নিয়ে পরবর্তীতে দুশ্চিন্তা হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া অধৈর্য ব্যক্তি বরাবরই দুশ্চিন্তায় থাকেন বলে গবেষণায় প্রমাণিত।
৩. রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখা: রাগ মানুষকে পরাজিত করে। তাই কোনো সমস্যা বা ঘটনার মুখোমুখি হলে রেগে যাবেন না। এতে পরিস্থিতি আপনার নিয়ন্ত্রণে নাও থাকতে পারে। তাছাড়া কোনো কোনো ঘটনায় রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারার জন্য আপনার অনুশোচনাও হতে পারে। তা থেকে দুশ্চিন্তাও দেখা দিতে পারে। তাই রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
৪. পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা রাখা: কখন, কোথায়, কোন পরিস্থিতিতে আছেন সে সম্পর্কে আগাম ধারণা থাকা উত্তম। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মানুষ নানা বিষয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন। তাই চেষ্টা করুন অনুকূল পরিবেশে নিজেকে ধরে রাখার। অন্যথায় যত দ্রুত সম্ভব প্রতিকূল পরিবেশ পরিহার করুন।
৩. ধর্মের উপর মনোযোগ বাড়ানো: সব সময় সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করা উচিৎ। প্রতিটি ধর্মই কিন্তু মানুষের কল্যাণের কথা বলে। নিয়ম মেনে জীবনযাপনের পরামর্শ দেয়। তাই ইবাদতের উপর মনোযোগ বাড়ালে দেখবেন ইহজগতের মোহ থেকে অনেকটাই মুক্তি পাচ্ছেন। তাতে জাগতিক বিষয়ের উপর থেকে দুশ্চিন্তা অনেকটাই কমে যাবে।
৪. ভালো মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা: কথায় আছে সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। যদি কেউ খারাপ মানুষের সাথে বন্ধুত্ব ও চলাফেরা করে তাহলে তার মনের ভেতরেও সেই গুণাগুণ এবং অভ্যাস প্রবেশ করবে। অসৎ জীবনে দুশ্চিন্তার পরিমাণ কিন্তু বেশি। সুখী মানুষ সেই জন, যিনি ন্যায়পথে সহজ সরলভাবে জীবনযাপন করেন।
৬. প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন করা: বেঁচে থাকার জন্য আমাদের প্রতিদিনই কিছু কাজ করতে হয়। দূরদর্শী মানুষরাই প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন করেন। আর অলস মানুষেরা আজকের কাজ আগামী দিনের জন্য রেখে দেন। এ রকম করলে অনেক কাজ জমে যায়। তখন সব কাজ একসাথে করতে গেলে কোনোটাই ঠিক মতো করা হয় না। তাতে দুশ্চিন্তাই শুধু বৃদ্ধি পায়।