ফড়িং মিডিয়া – অনলাইন ডেস্ক: হস্তমৈথুন একটি মরত্বক অপ্রতিরোদ্য বদ অভ্যাস বলা যেতে পারে।যদিও ডাক্তারী ভাষায় অনেক ডাক্তার বলতে চান এটি একটি স্বাভাবিক যৌনাচার। কেউ কেউ এটাতে কিছু ভাল দিকও খুজে পেতে চান। যেমন কেউ কেউ বলেনঃ হস্তমৈথুনের মাধ্যমে পুরুষ কিংবা নারী নিজেই নিজের জীবনের যৌন চাহিদা মেটাতে পারেন এবং এর মাধ্যমে তারা তৃপ্ত হতে পারেন।

অনেক পুরুষ অতিরিক্ত হস্তমৈথূন্য জনিত কারনে তাদের লিঙ্গে দুর্বলতা অনুভব করেন। এটার প্রধান কারন অল্প বয়সে হস্তমৈথূন্য শুরু করা এবং ভুল পদ্ধতিতে হস্তমৈথূন্য করা। যারা অল্পবয়সে হস্তমৈথূন্য করেন তারা বিয়ের পর সংসার জীবনে নানান জটিলতায় ভুগে থাকেন। এমনকি অল্পবয়সে হস্তমৈথূন্যের ফলে লিঙ্গের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যহত হয় বলে লিঙ্গের আকার ছোট থেকে যেতে পারে।

তাই বাবা-মার উচিৎ বয়সন্ধিকালে সন্তানকে নজরদারীতে রাখা এবং যৌন বিষয়গুলো শিক্ষার সুযোগ করে দেয়া। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে তৃতীয় শ্রেনী থেকে পাঠ্যপুস্তকে যৌন শিক্ষা বিষয়টি অন্তভুক্ত আছে। অথচ লজ্জা আর সামাজিক কারনে আমরা অনেক অন্ধকারে রয়ে গেছি আমরা।

অতিরিক্ত হস্তমৈথূন্যের ফলে শক্তি হ্রাস ও নানাবিদ শাররীক সমস্যায় ভোগেন। তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হল:

-শাররীক ব্যথা এবং মাথা ঘোরা।

-যৌন ক্রিয়ায় সাথে জড়িত স্নায়তন্ত্র দুর্বল করে দেয় অথবা ঠিক মত কাজ না করার পরিস্থতি সৃষ্টি করে।

-শরীরের অন্য অঙ্গ যেমন হজম প্রক্রিয়া এবং প্রসাব প্রক্রিয়ায় সমস্যা সৃষ্টি করে।

-দৃষ্টি শক্তি দুর্বল করে দেয় এবং মাথা ব্যাথা সৃষ্টি করে।

-হৃদকম্পনে দ্রুততা আসে এবং অনেকে নার্ভাস ফিল করতে পারেন।

-ব্যক্তি কোনো কঠিন শারীরিক বা মানসিক কাজ এর অসমর্থ তিনি সাধারণত নির্জনতায় থাকতে চেষ্টা করে এবং তার জ্ঞান বৈকল্য হয়।

-দ্রুত বীর্যস্থলনের প্রধান কারন অতিরিক্ত হস্তমৈথুন্য।

আর তাই যত দ্রুত সম্ভব হস্তমৈথুন্য ছাড়ে দেওয়া উচিত।

হস্তমৈথুন ছাড়ার টিপস :

– কোন কোন সময় হস্তমৈথুন বেশি করেন, সেই সময়গুলো চিহ্নিত করুন। বাথরুম বা ঘুমাতে যাওয়ার আগে যদি উত্তেজিত থাকেন, বা হঠাত কোন সময়ে যদি এমন ইচ্ছে হয়, তাহলে সাথে সাথে কোন শারীরিক পরিশ্রমের কাজে লাগে যান। যেমন বুকডন বা অন্য কোন ব্যায়াম করতে পারেন। যতক্ষণ না শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়, অর্থাৎ হস্তমৈথুন করার মত আর শক্তি না থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই কাজ বা ব্যায়াম করুন। গোসল করার সময় এমন ইচ্ছে জাগলে শুধু ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন এবং দ্রুত গোসল ছেড়ে বাথরুম থেকে বের হয়ে আসুন।

– মেয়েদের দিকে কুনজরে তাকাবেন না। তাদের ব্যাপারে বা দেখলে মন আর দৃষ্টি পবিত্র করে তাকাবেন। নিজের মা বা বোন মনে করবেন।

– যতটা সম্ভব নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখুন।

– ধৈর্য ধরতে হবে। একদিনেই নেশা থেকে মুক্তি পাবেন, এমন হবে না। একাগ্রতা থাকলে ধীরে ধীরে যে কোন নেশা থেকেই বের হয়ে আসা যায়। মাঝে মাঝে ভুল হয়ে যাবে। তখন হতাশ হয়ে সব ছেড়ে দেবেন না। চেষ্টা করে যান।

– যে কোন উপায়ে পর্ণমুভি আর চটি এড়িয়ে চলুন।

– কম্পিউটারে পর্ণ দেখতে দেখতে হস্তমৈথুন করলে কম্পিউটার লিভিং রুমে নিয়ে নিন যাতে অন্যরাও দেখতে পায় আপনি কী করছেন। এতে পর্ণ সাইটে ঢোকার ইচ্ছে কমে যাবে।

– যেসব ব্যাপার আপনাকে হস্তমৈথুনের দিকে ধাবিত করে, সেগুলো ছুড়ে ফেলুন, সেগুলো থেকে দূরে থাকুন। যদি মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন থেকে সত্যি সত্য মুক্তি পেতে চান তাহলে পর্ণ মুভি বা চটির কালেকশন থাকলে সেগুলো এক্ষুনি নষ্ট করে ফেলুন। পুড়িয়ে বা ছিড়ে ফেলুন। হার্ডড্রাইভ বা মেমরি থেকে এক্ষুনি ডিলিট করে দিন। ইন্টারনেট ব্যবহারের আগে ব্রাউজারে্র প্যারেন্টাল কন্ট্রোল-এ গিয়ে এডাল্ট কন্টেন্ট ব্লক করে দিন। কোন সেক্স টয় থাকলে এক্ষুনি গার্বেজ করে দিন।

– হস্তমৈথুন একেবারেই ছেড়ে দিতে হবে না। নিজেকে বোঝাবেন যে মাঝে মাঝে করবেন। ঘনঘন নয়।

– যারা বাজে বিষয় নিয়ে বা মেয়েদের নিয়ে বা পর্ণ মুভি বা চটি নিয়ে বেশি আলোচনা করে, তাদেরকে এড়িয়ে চলুন।

– হস্তমৈথুনে চরমভাবে এডিক্টেড হলে কখনোই একা থাকবেন না, ঘরে সময় কম কাটাবেন, বাইরে বেশি সময় কাটাবেন। জগিং করতে পারেন, সাইকেল নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। ছাত্র হলে ক্লাসমেটদের সাথে একসাথে পড়াশুনা করতে পারেন। লাইব্রেরি বা কফি শপে গিয়ে সময় কাটাতে পারেন।

– সন্ধ্যার সময়ই ঘুমিয়ে পড়বেন না। কিছু করার না থাকলে মুভি দেখুন বা বই পড়ুন।

– ভিডিও গেম খেলতে পারেন। এটাও হস্তমৈথুনের কথা ভুলিয়ে দেবে।

– সেক্সুয়াল ব্যাপারগুলো একেবারেই এড়িয়ে চলবেন। এধরনের কোন শব্দ বা মন্তব্য শুনবেন না।

– ছোট ছোট টার্গেট সেট করুন। ধরুন প্রথম টার্গেট টানা দুইদিন হস্তমৈথুন করবেন না। দুইদিন না করে পারলে ধীরে ধীরে সময় বাড়াবেন।

– যখন তখন বিছানায় যাবেন না। কোথাও বসলে অন্যদের সঙ্গ নিয়ে বসুন।

– বাথরুম শাওয়ার নেয়ার সময় হস্তমৈথুনের অভ্যাস থাকলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাথরুম থেকে বের হয়ে আসতে চেষ্টা করুন।

– যখনি মনে সেক্সুয়াল চিন্তার উদয় হবে, তখনই অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করবেন।

– বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সবার সাথে বেশি সময় কাটান।

– ধ্যান বা মেডিটেশন করতে পারেন। যোগ ব্যায়াম করতে পারেন।

– নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করবেন, আপনার সাথে যারা আছে তাদের কথা ভাববেন।

– ফোনসেক্স এড়িয়ে চলুন

– অপরের সাহায্য নিতে ভুল করবেন না। রাতের বেলা হস্তমৈথুন করলে কারো সাথে রুম শেয়ার করুন। বা দরজা জানালা খোলা রেখে আলো জ্বালিয়ে ঘুমান। যখন দেখবেন যে সব চেষ্টা করেও একা একা সফল হতে পারছেন না, তখন বন্ধুবান্ধব, পরিবার, ডাক্তার- এদের সাহায্য নেয়া যায়। এখানে লজ্জার কিছু নাই।

– উপুর হয়ে ঘুমাবেন না।

– বিকেলের পরে উত্তেজক ও গুরুপাক খাবার খাবেন না।

– গার্লফ্রেণ্ড বা প্রেমিকাদের সাথে শুয়ে শুয়ে, নির্জনে বসে প্রেমালাপ করবেন না।