ফড়িং মিডিয়া – ঢাকা: ঈদের দিন সকালে গোসল সেরেই ঈদের জামাতে নামাজ পড়তে যেতে হবে। ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য সকাল থেকেই ছেলে-বুড়ো সবার মধ্যেই অন্য ধরনের আনন্দ থাকে। বড়-ছোট সবাই ঈদের নামাজ পড়তে যায়। নতুন টুপি, আতর, জায়নামাজ ও তসবিহ আনন্দের এই মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
টুপি
ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গোল টুপি ৫০-৫০০ টাকা, সোনালি সুতায় নকশা করা ৮০০-১,২০০ টাকা, পুঁতির কাজ করা টুপি ১৮০-৩০০ টাকায় পাওয়া যাবে। বাচ্চাদের চুমকি বসানো টুপির দাম পড়বে ৮০-২০০ টাকা। মশারির কাপড়ের (নেট) তৈরি টুপি ও সাধারণ টুপির দাম ৫০-১২০ টাকা। এ ছাড়া ৩৫০-৩,৫০০ টাকায় মালয়েশিয়া, তুরস্ক ও আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের টুপিও পাওয়া যাবে।
জায়নামাজ
ভেলভেট, সুতি, কার্পেটসহ বিভিন্ন কাপড়ের দেশী জায়নামাজ পাওয়া যাবে ৪০০-২,০০০ টাকার মধ্যে। এ ছাড়া চীন ও সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আনা বিভিন্ন নকশা ও কারুকাজের জায়নামাজ ৩০০-৫,০০০ টাকায় পাওয়া যাবে।
তসবিহ
স্টার, আকিক, লাল মারজানসহ বিভিন্ন দামী পাথরের তসবিহ ১,০০০-৮,০০০ টাকায় পাওয়া যাবে। এ ছাড়া প্লাস্টিকের দানার তৈরি তসবিহ ২০-৩০০ টাকা এবং সাধারণ পাথরের তসবিহ পাওয়া যাবে ৮০-২৫০ টাকার মধ্যে।
আতর
ঈদগাহে নামাজ শেষে একে-অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় আর কোলাকুলিতে মন মাতানো সুগন্ধিতে চারপাশ ভরিয়ে দিতে আতরের বিকল্প নেই। ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মার্কেট ঘুরে দেখা, আম্বর কস্তুরি আতর ৩,০০০-১২,০০০ টাকা, কিসওয়াতুল কাবা, হ্রদ প্রভৃতি ৫,০০০-১০,০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশী আতরের মধ্যে হাসনা হেনা, রজনীগন্ধা, গোলাপ, বেলি, নাইট ফ্লাওয়ার, জান্নাতুল ফেরদৌস বিক্রি হচ্ছে ৫০-৮০০ টাকা দরে।
সুরমা
বাজারের সবচেয়ে ভালো মানের সুরমা মিসরের। এর প্রতি তোলার দাম পড়বে ২৫০-৪৫০ টাকা। পাকিস্তানি সুরমার তোলা ১২০ টাকা এবং ভারতীয় সুরমা ৬০ টাকা তোলা। এ ছাড়া ৫০-২৫০ টাকায় দেশী সুরমার প্যাকেট পাওয়া যাবে।
কোথায় পাবেন
ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ, কাকরাইল মসজিদ, নিউমার্কেট, চাঁদনী চক, এলিফ্যান্ট রোড, কাঁটাবন ও গুলিস্তান মার্কেটে এ সব সামগ্রী পাওয়া যাবে। তবে এসব সামগ্রীর ব্যাপারে যারা একটু শৌখিন তারা যেতে পারেন যমুনা ফিউচার পার্কসহ অভিজাত শপিংমলগুলোতেও।