ফড়িং মিডিয়া – লাইফস্টাইল ডেস্ক: নতুন পোশাক পরার মাঝে আনন্দ খুঁজে পায় শিশুরা। তাই ঈদের সময় ছোটদের জমা-কাপড়ের আয়োজনে থাকে ভিন্নতা। ছোট্ট অহনা মায়ের সাথে শপিং করতে এসেছে। কারণ ঈদের দিনের জন্য চাই নতুন জামা। আর তো ক’টা দিন তাই মার্কেট ঘুরে মা ও মেয়ে দেখছেন কোন জামা কিনবেন।
ঈদুল ফিতর হোক অথবা আজহা, নতুন জামাকাপড় ছাড়া কিন্তু ঈদ হবে না। বিশেষ করে ছোটদের তো নয়ই। শপিংমলগুলোয় চলছে ঈদের কেনাকাটা। ছোট্টদের পোশাকের বিশাল সম্ভার রয়েছে শপিংমলগুলোয়। দেশী-বিদেশী সব ধরনের পোশকই রয়েছে শিশুদের ঈদ কালেকশনে।
তবে এর পাশাপাশি ফ্যাশন হাউজগুলোয়ও রয়েছে ছোটদের পোশাকের আকর্ষণীয় সম্ভার। ছেলেদের জন্য যেমন রয়েছে পাঞ্জাবি, পায়জামা, শার্ট, ফতুয়া, শেরওয়ানি ইত্যাদি, তেমনি মেয়েদের জন্য রয়েছে ফ্রক, স্কার্ট, সালোয়ার, কামিজ, ফতুয়া, লেহেঙ্গা, লং ড্রেস পালাজ্জো আরো কত কী। ডিজাইন আর প্যাটার্নে বৈচিত্র্য ছোটদের পোশাকগুলোয় নিয়ে এসেছে নতুনত্ব।
অহনার মা রাশেদা বলেন, “ও এখনও শপিংয়ের কিছু বোঝে না তবে, ওকে কোনো পোশাক দেখিয়ে, ‘আম্মু এটা নিবে?’ বললে খুব খুশি হয়। হাত পা নেড়ে সায় দায়, সেটা দেখতে খুবই ভালো লাগে।
একটু বড় শিশুরা অবশ্য হাত-পা নেড়েই খুশি না। তারা রীতিমতো মতামত দিচ্ছে তাদের কী রংঢংয়ের পোশাক চাই। কেউ কেউ নিজে থেকেই পোশাক নিয়ে আয়নায় দেখে নিচ্ছে তাকে মানাবে কি-না।
ছোটদের পোশাকের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হচ্ছে এর রঙ। উৎসবভিত্তিক আবহ ফুটিয়ে তুলতে ছোটদের পোশাকগুলোয় মূলত উজ্জ্বল রঙ ব্যবহার করা হয়। লাল, ম্যাজেন্টা, পার্পেল, নীল, কমলা ও সবুজ রঙের নানা আঙ্গিকে ব্যবহার শিশুদের কাছে সহজেই আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।
মাল্টিকালার ও প্রিন্টের কাপড় ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে শিশুদের জন্য বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক। আবহাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে প্রধানত সুতির কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে পোশাকে। এ ছাড়া লিলেন, জর্জেট, ভয়েল এসব কাপড়ও রয়েছে পোশাক উৎসবধর্মী করে তোলার জন্য।
নকশায় আকর্ষণীয় বৈচিত্র্য আনতে নানাধর্মী মোটিভ ব্যবহার করা হয়েছে। কে ক্র্যাফট তাদের শিশুদের কালেকশনে ব্যবহার করেছে অসংখ্য মোটিভস। ফুল, লতাপাতা, পাখি, প্রজাপতি, ঘুড়ি, কার্টুন ক্যারেক্টার প্রভৃতি মোটিভ ব্যবহার করে সাজিয়ে তুলেছে তাদের কালেকশন। রঙ বাংলাদেশ বিভিন্ন প্যাটার্ন, ডিজাইন ব্যবহার করে তৈরি করেছে তাদের চাইল্ড কালেকশন। অ্যামব্রয়ডারি, সিকোয়েশন হাতের কাজ, প্রিন্ট ও বিভিন্ন মাধ্যমের ব্যবহারে তৈরী পোশাকগুলো উৎসবমুখী, আরামদায়ক এবং কাট ও ফিনিসে উন্নত।
সাদাকালো এবং বিশ্বরঙ ছাড়া প্রায় প্রতিটি ফ্যাশন হাউজেই পাওয়া যাবে শিশুদের পোশাক। যাত্রা, কে-ক্রাফট, অঞ্জনস, দেশাল, লা রিভসহ প্রভৃতি ফ্যাশন হাউজে নানান বিষয়বস্তু মাথায় রেখে ছোটদের উৎসবের পোশাক ডিজাইন করা হয়েছে। সাধারণত দুই থেকে ১২ বছরের শিশুদের পোশাক এসব ফ্যাশন হাউজগুলোতে পাওয়া যাবে।
লা রিভের ছোটদের পোশাক। লা রিভের ছোটদের পোশাক। একদম নবজাতক থেকে সব বয়সের ছেলে এবং মেয়ে শিশুদের পোশাক পাওয়া যাবে আড়ং-এর সবগুলো আউটলেটে। শিশুদের পোশাকের ক্ষেত্রে অনেকেই এখন পাশ্চাত্য ঘরানার পোশাক বা ফিউশন ধর্মী পোশাককে প্রাধান্য দিচ্ছেন। এ ধরনের পোশাক পাওয়া যাবে ওয়েসটেক্স, আর্টিসান, টেক্সট মার্ট, জেন্টেল পার্ক এবং ইয়োলোর আউটলেটে