ফড়িং মিডিয়া – অনলাইন ডেস্ক: খুব জরুরি কাজেই হোক বা স্রেফ ভ্রমণ—বিমানের ক্রু কিংবা বিমানবালাদের সঙ্গে দরকারি কথা তো বলতেই হয়। বিমানে ওঠার আগে যেমনটা ভেবেছিলেন, সেবা তেমনটা নাও পেতে পারেন। এ নিয়ে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের সঙ্গে আলাপচারিতা হতেই পারে। তবে সেই বিষয়টি শোভনীয় পর্যায়ে থাকাটা বাঞ্ছনীয়। বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকতে বলেন আচরণবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা। এর কিছু নমুনা দেখে নিন।

আমাকে ওই সিটটা দেওয়া যায়?

এটা আসলে নির্বোধের মতো একটা প্রশ্ন। আপনি পছন্দমতো সিট বেছে নিতে পারবেন না। পাশের যাত্রীকে পছন্দ না হলেও কিছু করার নেই। তাই অযথা ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের এ নিয়ে অনুরোধ করবেন না।

ফার্স্ট ক্লাসে একটা খালি সিট দেওয়া যায়?

এমন ঘটনা অনেক যাত্রীই ঘটাতে চায়। তারা ফার্স্ট ক্লাস কেবিনে গিয়ে খালি সিটে বসে পড়ে। এর জন্য ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টকে মিষ্টি ভাষায় অনুরোধও করে। কিন্তু তা কোনো অবস্থাতেই করার এখতিয়ার রাখেন না ক্রুদের কেউ।

আর কতক্ষণ দেরি হতে পারে?

আপনি হয়তো জরুরি কাজে ছুটছেন। কিন্তু বিমানবন্দরে প্লেনের জট লেগে রয়েছে। কিংবা আবহাওয়া বিরূপ। তাই বিমান উড়তে বিলম্ব হচ্ছে। আসলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অ্যাটেনডেন্টরা বলতে পারেন না যে আর কত সময় বসে থাকতে হবে। যেহেতু তাঁরা পরিষ্কারভাবে প্রশ্নের জবাব দিতে পারবেন না, কাজেই অস্বস্তিতে ফেলার কী দরকার?

এই খাবারে কি কোলেস্টেরল বেশি?

এটাও প্রশ্নের একটা উদাহরণ মাত্র। ডায়াবেটিস বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যায় আপনার বিভিন্ন খাদ্যে বিধি-নিষেধ থাকতে পারে। কিন্তু বিমানের নির্দিষ্ট খাদ্যতালিকায় আপনি নিজের পছন্দমতো খাবার নাও পেতে পারেন। যা দেওয়া হচ্ছে তাই খেতে হবে আপনাকে। ওটা গ্লুটেন-ফ্রি কি না বা এতে কোলেস্টেরল বেশি কি না ইত্যাদি প্রশ্ন ছুড়ে কোনো লাভ আছে কি?

আপনার নাম্বারটা দেওয়া যাবে?

আরেকটি অস্বস্তিকর প্রশ্ন। কোনো অ্যাটেনডেন্টের সেবা ভালো লাগলে তাঁকে ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেন না। কিন্তু হঠাৎ করে তাঁর মোবাইল নাম্বারটা চেয়ে বসবেন না। আবার এও ভাববেন না যে তাঁরা আপনার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। আপনার দেখভাল করা তাঁদের দায়িত্ব।

বাচ্চাটাকে একটু দেখে রাখবেন?

ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা কিন্তু বেবিসিটার নন। যদি বাচ্চা নিয়ে বিমানে ওঠেন তো ওর দেখাশোনা আপনারই করতে হবে। সদ্ব্যবহারের জেরে হয়তো কিছু সহায়তা নিতে পারেন। কিন্তু আপনি একটু ঘুমিয়ে নেবেন বা অন্য কিছু করবেন এবং সেই সময়টা আপনার বাচ্চাটাকে তাঁরা দেখে রাখবেন, এমনটা ভেবে নেবেন না। তার খেয়াল নিজেই রাখুন।