is781-032
is781 032

ফড়িং মিডিয়া – অনলাইন ডেস্ক: গলা ব্যথা কেন হয়? গলা ব্যথা হলে করণীয় কি? এধরনের জিজ্ঞাসা আমাদের মাঝে প্রতিনিয়তই জন্ম নেয়। কারন আমরা অনেকেই প্রায়ই এ ধরনের সমস্যায় ভূগি। গলা ব্যথা কেন হয়? এর উত্তর অনেক কিছুই হতে পারে তবে মূলত সর্দি জ্বর ও মাথা ব্যথার কারনে আমাদের অনেকেরই গলা ব্যথা হয়ে থাকে। এছাড়া ঋতু পরিবর্তন, ঠান্ডা লাগা,বহুক্ষণ গলাবাজী ইত্যাদি নানা কারণেই গলা ব্যাথা হয়। আবার স্ট্রেপটোকক্কাস ব্যাকটেরিয়া দিয়ে যে ফ্যারিনজাইটিস হয় তাতে শুধু গলা নয়, কিডনিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।গলা ব্যথায় আরাম পেতে যে খাবারগুলো উপকারী তারই একটি তালিকা উল্লেখ করা হয়।

কলা

কলার মধ্যে কোনো অ্যাসিডজাতীয় উপাদান নেই আর খুবই নরম একটি ফল। তাই এই ফল খেতে গলায় তেমন চাপ পড়ে না। এছাড়া রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, বি সিক্স, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি, যা ঠাণ্ডাজনিত অসুস্থতায় কাজে দেয়।

চিকেন সুপ

গলা ব্যথায় বহুল জনপ্রিয় একটি খাবার মুরগির সুপ। গরম সুপে রয়েছে অ্যান্টিবায়টিক উপাদান যা গলা ব্যথা উপশমে সাহায্য করে। তাছাড়া এই সুপ গলার পেশীতে ভাইরাসের সংক্রমণ রোধেও সাহায্য করে। সুপ তৈরিতে গাজর, পেঁয়াজ, আদা ইত্যাদিসহ আরও মৌসুমি সবজি মিশিয়ে নিলে তা পুষ্টিগুণ বাড়াবে আরও কয়েকগুণ।

লেবুর রস ও মধুর মিশ্রণ

লেবু আর মধুর মিশ্রণ গলা ব্যথা উপশমে বেশ উপকারী। গলার ভিতরে প্রদাহ রোধ করে আরাম দিতে সাহায্য করে এই দুটি উপাদানের মিশ্রণ।

স্ক্র্যাম্বল এগ

স্ক্র্যাম্বল এগ বা ডিমে তরলদুধ মিশিয়ে ঝুরি করে ভেজে নিলে তা খেতে সহজ হয় এবং তা সহজপাচ্য হয়। তাছাড়া এই খাবার প্রোটিনে ভরপুর যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে গলা ব্যথার সময় খেতে গেলে অবশ্যই ঝাল মসলা এড়িয়ে চলতে হবে।

আদা ও মধু চা

গলার জন্য দারুণ উপকারী মধু ও আদা মিশ্রিত চা। গরম চা গলা ব্যথায় আরাম দেয়। আর এই চা-য়ের ঘ্রাণও ঠাণ্ডার সমস্যায় বেশ উপকারী। তাছাড়া বুকে জমে থাকা কফ দূর করতেও সাহায্য করবে। মধু গলার খুশখুশেভাব দূর করতে সাহায্য করে।

ওটমিল

উপকারী আঁশে ভরপুর ওটমিল শরীরের কলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। পাশাপাশি প্রোটিনের চাহিদাও পূরণ করে এই পুষ্টিকর খাবার। কলা ও মধু মিশ্রিত ওটমিল গলা ব্যথায় বেশ উপকারী।

সিদ্ধ গাজর

অসুস্থ অবস্থায় গাজর বেশ উপকারী। তবে গলা ব্যথায় কাঁচাগাজর খাওয়া বেশ কষ্টকর। তাই গাজর সিদ্ধ করে তারপর খেতে হবে। আঁশ সমৃদ্ধ গাজরে আছে ভিটামিন এ, সি এবং কে। আরও আছে পটাশিয়ামসহ আরও অনেক পুষ্টি উপাদান। শরীর দ্রুত সুস্থ হতে এই উপাদানগুলো জরুরি।