ফড়িং মিডিয়া – অনলাইন ডেস্ক: গ্রামীণের নামে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠানগুলোর অবৈধভাবে কর সুবিধা নেওয়ার বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর নেতাদের সঙ্গে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গ্রামীণফোনের লভ্যাংশের শতকরা ৩০ ভাগ গ্রামীণ ব্যাংককে না দেওয়ায় মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘চিটার’ আখ্যায়িত করে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক সুদমুক্ত, এটা সত্য। কিন্তু তার পাশাপাশি ৪০-৫০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেগুলো তো সুদমুক্ত নয়। সেইগুলোর ট্যাক্স কেন সরকারকে দেবে না? সেই রিপোর্টও এনবিআরের কাছে আছে।’
ওই সময় পাশে থাকা অর্থমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে মাননীয় অর্থমন্ত্রী আছেন। এটা তার দায়িত্ব। তিনি এটা দেখবেন। তিনি ব্যবস্থা নেবেন। আমি বলতে গেলে শুরু হবে নানা কথা।’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ইটস আ ভেরি ডিফিক্যাল্ট ইস্যু। ড. ইউনূস গ্রামীণের নামে সব প্রতিষ্ঠান থেকে ট্যাক্স বেনিফিট (কর সুবিধা) নিয়েছেন। হুইচ ইজ ইলিগ্যাল (যেটা অবৈধ), এটা ইজ বিং ইনভেস্টিগেটেড (তদন্ত চলছে), দ্যাটস অল।’
এসময় বেসিসের নেতারা অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আইটি খাতে রফতানির সম্ভাব্যতা বিষয়ে মতবিনিময় করেন। তারা অর্থমন্ত্রীর কাছে সফটওয়্যার রফতানির জন্য ক্যাশ ইনসেনটিভের (নগদ সহায়তা) সুবিধা চেয়েছেন। তারা জানান এই খাতে নগদ সহায়তা পেলে রফতানি বাণিজ্যে আরও সফলতা আসবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব নজিবুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বেসিসের পক্ষে সভায় উপস্থিত ছিলেন বর্তমান সভাপতি মোস্তফা জব্বার, সাবেক সভাপতি শামীম আহসান প্রমুখ।