যৌন পবিত্রতা রক্ষায় বহুবিবাহ : জাহান্নামের নির্মম শাসিত্ম থেকে মুক্তি এবং চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষার একটাই উপায় ইসলামের শিক্ষার ওপর আমল করা; আল্লাহপাক যার আদেশ করেছেন—
فَانْكِحُوْا مَا طَابَ لَكُمْ مِنَ النَّسَاءِ مَثْني وَثُلثَ وَرُبعَ # النساء–۳
‘তোমরা যাদের ভালো লাগে দুটি তিনটি চারটি করে বিয়ে করো।’ স্বাভাবিক যৌন তাড়না বিয়ের মাধ্যমে বৈধভাবে মিটাবে। বিয়ে এক থেকে চারটা পর্যন্ত একসাথে করা যায়। তবে শর্ত হলো, তাদের মাঝে সাম্য ও সমতা রক্ষা করতে হবে। একই ভাবে সবার হক আদায় করতে হবে।
সমতার শর্তে বহুবিবাহ জায়েয : একাধিক বিয়ের অনুমতি কামপ্রবণ ব্যক্তিদের জন্য ইসলামরে এক প্রতিষেধক ব্যবস্থা মাত্র। উদ্দেশ্য এটা নয় যে, একাধিক স্ত্রী রাখতেই হবে বা অনর্থক একাধিক বিয়ে করবে। বরং প্রয়োজনে একাধিক বিয়ে করা যায়। কুরআন অত্যমত্ম স্পষ্টভাবে বলেছে,
فَاِنْ خِفْتُمْ اَنْ لاَّ تَعْدِلُوْا فَوَاحِدَةً اَوْ مَا مَلَكَتْ اَيْمَانُكُمْ ذَالِكَ اَدْني اَنْ لاَّ تَعُوْلُوْا # النساء-۳
‘আর যদি মনে করো তাদের মাঝে সমতা বিধান করতে পারবে না তাহলে একটি বিয়েই করো। এটাই পক্ষপাতিত্ব না করার অধিকতর সম্ভাবনা।’ ইসলামের শত্রুরা একাধিক বিয়ে নিয়ে যে অভিযোগ উত্থাপন করে আলোচ্য আয়াতে তাদের সব অভিযোগ নিরসর হয়ে যায়। একাধিক বিয়ের অনুমতি তখনই পাবে যখন বাসত্মবেই প্রয়োজন হবে এবং সবার মাঝে সমতা বিধান করতে পারবে। কুরআনের অন্যত্র এসেছে,
فَلاَ تَمِيْلُوْا كُلَّ الْمَيْلِ فَتَذَرُوْهَا كَالْمُعَلَّقَةِ # النساء- ۱۲۹
‘একজনের দিকে পূর্ণরূপে ঝুঁকে যেও না, ফলে অন্যজনকে ঝুলিয়ে রাখবে।’