ফড়িং মিডিয়া – ন্যাশনাল ডেস্ক: রাষ্ট্রদ্রোহ ও দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা এক ডজন মামলার সবকটিতে জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১০টি মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে আগামী ১০ অক্টোবর, বড় পুকুরিয়া দুর্নীতি মামলায় ৮ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। বাকি একটি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন এখনো ধার্য করা হয়নি। এর মধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় খালেদাকে আদালতে উপস্থিত হওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

দারুস সালাম থানার মামলাগুলোর মধ্যে গত ১১ মে দারুস সালাম থানার ৪(৩)১৫ এবং ৮(২) ১৫ নম্বরের দুই মামলায় খালেদা জিয়াসহ বিএনপির ৫১ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

রাষ্ট্রদ্রোহ ও দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা এক ডজন মামলার সবকটিতে জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

Khaleda-Zia-is-on-courtখালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১০টি মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে আগামী ১০ অক্টোবর, বড় পুকুরিয়া দুর্নীতি মামলায় ৮ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। বাকি একটি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন এখনো ধার্য করা হয়নি। এর মধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় খালেদাকে আদালতে উপস্থিত হওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

দারুস সালাম থানার মামলাগুলোর মধ্যে গত ১১ মে দারুস সালাম থানার ৪(৩)১৫ এবং ৮(২) ১৫ নম্বরের দুই মামলায় খালেদা জিয়াসহ বিএনপির ৫১ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমোদন দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদার আদালতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী ১২৩ এর ‘ক,’ ১২৪ এর ‘ক’ও ৫০৫ ধারায় পিটিশন মামলা করেন। ৩ মার্চ আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত। ৫ এপ্রিল এ মামলায় তিনি আত্মসমর্পণ করে জানিন নেন।

এ ছাড়া বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং তার মন্ত্রিসভার ১০ সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করা হয়।

চীনা প্রতিষ্ঠান কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারিজ ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সঙ্গে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তির মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতির অভিযোগ আনা হয় এ মামলায়।

এদিকে নাইকো মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এতে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।