fuck-wফড়িং মিডিয়া – লাইফস্টাইল ডেস্ক: একটা ঘটনা বলি-এক ভদ্রলোক খুব সুদর্শন সুপুরুষ। তিনিও খুব সুন্দরী নারীকে বিয়ে করেছিলেন প্রেম করে। ভালোই ছিলেন। কিন্তু বিয়ে টিকল না। বিচ্ছেদ হয়ে গেল। কেন? উনি প্রেমে পড়েছিলেন আরেক মহিলার, যিনি তার চেয়ে বয়সে ছোট আবার বিবাহিতা এবং এক সন্তানের মা। তার প্রেমে পড়ে গেলেন এবং তাকে আবার বিয়ে করলেন। তো সাধারণত এই প্রেমরোগ যখন কাউকে পায়, পরকীয়া যখন কাউকে পায় আল্লাহ ছাড়া আর তাকে কেউ হেল্প করতে পারেন না

আর আল্লাহ কাউকে অহেতুক হেল্প করতে আসেন না। কেউ যদি আল্লাহর সাহায্য না চায় আল্লাহ তাকে সাহায্য করতে আসেন না। কারণ আল্লাহর তো সাহায্য দেয়ার লোকের কোনো অভাব নাই।

২/৩ বছর পর বলে যে, একেবারে সর্বনাশ হয়ে গেছে। জীবন অতিষ্ঠ। এর সাথে আর থাকতে পারব না। এর সাথে থাকলে আর বাঁচব না। ৩/৪ বছরের মধ্যে আবার তার সাথে ছাড়াছাড়ি এবং আবার আরেক বিবাহিতার সাথে সম্পর্ক। প্রথম স্ত্রী ছিলেন ফর্সা, দ্বিতীয় স্ত্রী শ্যামলা, তৃতীয় স্ত্রীও শ্যামলা এবং সেও বিবাহিতা।

আবার তৃতীয় জনের সাথে বিয়ে। এবং একই অবস্থা। এবং সেটাও বছর দুই-তিনেক, তারপর শেষ। এবং চতুর্থবারও একই ঘটনা। কেন হয়? কারণ আমরা আসলে বদলাই না। আমরা তো আবার অনেক সময় নিজেরাই বলি আমি এইরকমই।

একজন আরেকজনকে যখন বুঝিয়ে দিল যে, এটা তোমার ভুল এটা তোমার চেঞ্জ হওয়া উচিত তখন আমরা আবার কী বলি? আমি এইরকমই। তুমি থাকতে পারলে থাক না থাকলে যাও। এটা হাজবেন্ডরাও বলেন এবং স্ত্রীরাও বলেন। যে পক্ষ যখন যেখানে শক্তিশালী হয়। কারণ কোথাও হাজবেন্ড শক্তিশালী কোথাও স্ত্রী শক্তিশালী। কোথাও হাজবেন্ড এক ডিগ্রি চড়া কোথাও স্ত্রী এক ডিগ্রি চড়া কিন্তু কথা একটাই আমি এইরকমই। অর্থাৎ আমি বদলাবো না এবং বদলানোর দায়িত্বও নেব না।