ফড়িং মিডিয়া – অনলাইন ডেস্ক: বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হাসিনা বেগম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ জন ছাত্রীকে লাইব্রেরিতে আটক রেখে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে গুরুতর আহত চারজন ছাত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় আহত এক ছাত্রীর বাবা মো. মোতালেব শেখ বাদী হয়ে বুধবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি এ বিষয়ে সভা করেছে। তবে বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা রেকর্ড হয়নি। বিষয়টি মিমাংসার প্রচেষ্টা চলছে।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ছাত্রীরা স্থানীয় মিন্টু হাজীর বাড়িতে কোচিং মাস্টার মো. আমিনুল হকের কাছে পড়ার জন্য আসে। এ সময় আমিনুল হক উপস্থিত না থাকায় ছাত্রীরা গল্প করে কোচিং স্যারের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।

হঠাৎ সেখানে স্কুলের সহকারী ইংরেজী শিক্ষক মো. শামীম হোসেন বাদশা এবং এমএলএসএস আবুল মল্লিক হাতে কয়েক জোড়া বেতের লাঠি নিয়ে কোচিং সেন্টারে প্রবেশ করে তাদেরকে স্কুলে নিয়ে যায়। স্কুলের লাইব্রেরিতে তাদের আটক রেখে ব্যাপক শারীরিক নির্যাতন ও গালিগালাজ করা হয়।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক শৈলেন্দ্রনাথ বাড়ৈ বলেন, আমিনুল হকের কোচিং সেন্টারের বাসার মালিকের স্ত্রী ফোনে অভিযোগ করেছে- স্কুলের ছাত্রীরা অযথা তাদের বাসায় আড্ডা দিয়ে বিরক্ত করছে। একথা শুনে ছাত্রীদের ডেকে আনার জন্য শিক্ষক শামীম ও আবুলকে পাঠানো হয়। স্কুলে এনে ছাত্রীদের বোঝানো হয়। তবে তাদের কিছু উত্তম-মাধ্যম দেয়া হয়েছে, নইলে তো কথা শুনতে চায় না!

প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, একজন ছাত্রীর বাবা থানায় অভিযোগের পর ইউএনও’র নির্দেশে বৃহস্পতিবার সকালে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভা হয়েছে। আশা করি বিষয়টি মিমাংসা হয়ে যাবে।

চিতলমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অনুকুল সরকার জানান, অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি এখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং শিক্ষা কর্মকর্তার আওতাধীন। তবে এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা রেকর্ড হয়নি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার প্রদীপ কুমার ভৌমিক বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখনো আমরা পাইনি, পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।