ফড়িং মিডিয়া – অনলাইন ডেস্ক: একটা আস্ত সিনেমা তৈরি হয়ে গেল এই নিয়ে। “পিকু” সিনেমায় অমিতাভ বচ্চনের চরিত্রাটার কথা মনে করে দেখুন, কোষ্ঠকাঠিন্যে জর্জরিত এক ৭০ বছর বয়সি বাঙালি। তাঁর কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রেক্ষাপটই সিনেমার কাহিনি। কেননা, বাঙালি বাড়িতে আমাশা ও কোষ্ঠকাঠিন্য – এই দুই সমস্যাই বিদ্যমান। তাই বাঙালি রিলেট করতে পারবে এমন একটি প্লট চাইছিলেন পরিচালক সুজিত সরকার। আমাশা হলে মোশন থামতে চায় না। অন্যদিকে, কোষ্ঠকাঠিন্যে ব্যাপারটায় ফুলস্টপ পড়ে যায়। ঠিক কী কী কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে জেনে নিন –

১] হাইপোথাইরয়েড থাকলে হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য। ইন্টেস্টিনাল ট্র্যাক্টের পেশিগুলির ক্ষতি করে এই থাইরয়েড। ফলে মলত্যাগে অসুবিধে হয়। সারাদিন কোমরে যন্ত্রণাও হয়।

২] কোনও বিষয়ে খুব চিন্তা করছেন। রাতের ঘুম চলে গেছে। খাওয়াদাওয়া অনিয়মিত হচ্ছে। এমন অবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে আপনার মোশনে। হতাশা হতে পারে কন্সটিপেশনের কারণ। তাতে আবার হজম প্রণালিরও ক্ষতি।

৩] গর্ভধারণ করলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। তবে এই সমস্যা শুরুর দিকেই বেশি হতে পারে। প্রোজেস্টেরন হরমোন মলনালীর পেশিগুলিকে শিথিল করে দেয়। ফলে মল ত্যাগ হতে চায় না।

৪] অতিরিক্ত জোলাপজাতীয় ওষুধ খেলেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। জোলাপ এমনিতেই ক্ষতিকারক ওষুধ।

৫] মাথা ব্যথা করল, অমনি খেয়ে নিলেন পেইন কিলার। এমনটা একেবারেই করবেন না। কথায় কথায় পেইন কিলার খাওয়া কমিয়ে দিন। বিশেষ করে নার্কোটিকস্, অ্যাসপিরিন ও আইবুপ্রোফেন। চিকিৎসকরা বলেন, পেইন কিলার খাওয়ার কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

৬] অতিরিক্ত চকোলেট খাওয়াও কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ। চকোলেটে উপস্থিত হাই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস্ কন্সটিপেশনের অন্যতম কারণ হতে পারে।

৭] ক্যালশিয়াম ও আয়রনে সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলুন। যেমন – কোষ্ঠকাঠিন্য হলে দুধ ও দুধ দিয়ে তৈরি কোনও খাবারই খাবেন না।

৮] কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে শরীরে ফাইবারের অভাবে। তাই বেশি পরিমাণে ফাইবারযুক্ত খাবার খান, যেমন আটার রুটি, পাউরুটি। ময়দা এড়িয়ে চলুন। ময়দা খেলে আবার কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। চেষ্টা করুন ডিনারের সময় ফাইবারযুক্ত খাবার খেতে। তাতে সকাল হলেই পেট পরিষ্কার হয়ে যাবে।

৯] আলসারেটিভ কোলাইটিসের মতো রোগে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এই রোগ কোলোন ও রেক্টামের ক্ষতি করে। ফলে, কোষ্ঠকাঠিন্যও হতে পারে।