ফড়িং মিডিয়া – অনলাইন ডেস্ক: পোশাকের ক্ষেত্রে মানুষের রুচি ও স্বভাবের ভীষণ ভিন্নতা রয়েছে। সামাজিক অবস্থা, আঞ্চলিকতা, চিন্তা এবং সমাজ ও সভ্যতার ভিন্নতার কারণে মানুষের পোশাকেও ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। তাছাড়া মানুষের নিজস্ব বোধ ও চেতনার প্রভাব পড়ে তার পোশাকে। তাই নানা কারণে মানুষের পোশাকে বৈচিত্র্য ও ভিন্নতা দেখা যায়।
পোশাক-আশাকের ক্ষেত্রে ইসলামী শরীয়তের অন্যতম একটি বিধান হলো, পুরুষের জন্য রেশমি সুতার তৈরি কাপড় ব্যবহার করা নিষেধ। রাসুলুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, স্বর্ণ আর রেশমি কাপড় আমার উম্মতের নারীদের জন্য হালাল আর পুরুষের জন্য হারাম। (তিরমিযি)
অন্য একটি বর্ণনায় আছে, যে ব্যক্তি দুনিয়াতে রেশমি পোশাক পরিধান করবেন তিনি পরকালে বঞ্চিত হবেন (বুখারী)। তাই এক্ষেত্রে ফকিহদের সর্বসম্মতিক্রমে এই মূলনীতি স্থির করা হয়েছে, পুরুষের জন্য রেশমি কাপড় পরিধান সম্মপূর্ণরূপে নাজায়েজ।
তবে এই মাসআলার বিশ্লেষণে সামান্য মতপার্থক্যও রয়েছে। ইমামদের মধ্যে আবু ইউসুফ এবং মুহাম্মাদ (রা.) বলেন যুদ্ধের সময় রেশমি কাপড় ব্যবহার করা জায়েজ। তবে ইমাম আবু হানিফার মতে সব সময়ই রেশমি কাপড় ব্যবহার নাজায়েজ। তার মতে, রেশমি কাপড়ের বিছানার চাদর,বালিশ, পর্দা ইত্যাদি ব্যবহার করা জায়েজ।
কিন্তু ইমাম ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদের মতে তাও জায়েজ নয়। এই দুজনের মতই অধিক সঙ্গত বলে মনে করা হয়। কারণ রাসুলুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি রেশমি কাপড় পরিধান করতে ও রেশমি কাপড়ের ওপর বসতে নিষেধ করেছেন (বুখারী)। নাবালক শিশুদেরকেও রেশমি কাপড় পরানো নাজায়েজ। যিনি পরাবেন, তিনি গুণাহগারে হবেন (ফতওয়ায়ে আলমগিরী)।