টিন-এজ। এ কোন বয়স কে জানে। ছেলেবেলা থেকেই এই বয়সটার প্রতি একটা অদ্ভূত মোহ থাকে। কি হয় এই সময়? দুটো ডানা গজায়? বোধহয়। এই বয়সেই বড় হয়ে যাওয়া। এ বয়সেই ডেটিং প্রেম। এই বয়সেই টানাপোড়েন। এই বয়সেই ভয় পাওয়া। সব মিলিয়ে অদ্ভূত রোমাঞ্চ ঘিরে ধরে ১৩ থেকে ২০ -তে।
কেমন একটা অন্যমনস্কতা। নতুন কিছু জানতে অদ্ভূত নেশ চড়ে যায় এই বয়সে। বাঁধন ছিঁড়তে ইচ্ছে করে। নিয়ম মানতেই চায় না মন। আর সেখানেই তো টানাপোড়েন। নিয়মই কি জীবনের শেষ কথা? না কি উড়তে শেখাটাই আসল। এ প্রশ্নের উত্তর নেই কারও কাছে। সকাল থেকে মন জুড়ে হাজার হাজার প্রশ্ন। কখনও ভয় করে জিজ্ঞেস করতে । কখনও আবার জানার আগেই জুড়ে বসে আরও নতুন প্রশ্ন। কিন্তু এও তো এক অ্যাডভেঞ্চার।
তবে শুধুইও ভালোলাগা নেই। আছে ভয়। বাইরে এতদিন যে লোকগুলোকে দেখতাম, তাদের চোগুলো যেন কেমন পালটে গেল। কেমন অন্যরকমভাবে তাকায়। হতে পারে এটা একটা ভুল বোঝা। হতে পারে ভুল ভাবা। তবু যেন কেমন লাগে। আরও অস্থির হয়ে যায়, গোলমাল হয়ে যায় সবকিছু।
তবে বড় হওয়ার স্বাদই আলাদা। এত আস্থিরতা তো বড় হচ্ছি বলেই। সরল ছেলেবেলা কাটিয়ে জটিলতা গুলো শিখলেই তো বড় হওয়া। এই অদ্ভূত বয়সে হাজারো কৌতূহলের উত্তর রইল এবারের ‘নন্দিনী’তে।