ফড়িং মিডিয়া – অনলাইন ডেস্ক: প্রতিটি মেয়ে গোপনে করে- চলো মেয়েরা আজ আমরা স্বীকার করেই ফেলি, এমন অনেক দিন গেছে যখন আমরা স্নান করতে ভূলে গেছি, জামাকাপড় কাছতে ভূলে গেছি, ব্যবহারিত অন্তর্বাস উল্টে নিয়ে পড়েছি, আবার খালি হাতে জ্যাম জেলি কৌঠো থেকে নিয়ে খেয়েছি!
আমরা মেয়েরা নিজেদেরকে স্রবোতকৃষ্ঠ ভেবে ছেলেদের নোংরা, অগোছালো আরও কি কি না ভাবি, কিন্তু আসলে আমরাও ছেলেদের মতই আচরণ করি!
তাই, এখানে একটা তালিকা দেওয়া হল যা মেয়েরা কখনো স্বীকার করে না।
আর ছেলেরা যদি এটা পড়ে তাহলে বুঝতে পারবে তাদের আশেপাশের মেয়েরাও অনেক অরুচিকর জিনিস করে যেগুলি তারা কোনদিনও বলে না।
১. স্টালকার সিনড্রোম
পরাক্তনকে উতক্ত করা। প্রাক্তনের নতুন বান্ধবীকে উতক্ত করা। প্রাক্তনের নতুন বান্ধবীর ভাইয়ের ছোট বেলার প্রিয় বন্ধুর বন্ধুর বোনকে উতক্ত করা। আপনি কি বুঝতে পারলেন আমি কি বলতে চাইছি?
২. গোপনাঙ্গ সেভ করা এবং পরে অনুশোচনা করা।
গোপনাঙ্গ সেভ করা অনেক সময়ই সর্বনাশা হয়। অল্পক্ষণের জন্য মসৃণতা পাওয়া গেলেও পরে যা চুলকানির অভিজ্ঞতা হয় তা নরকের মত। তখন আমাদের অনুশোচনা হয়। কিন্তু তাও বয়ফ্রেন্ডের সাথে যাওয়ার আগে আমরা আবার এই ঘটনা ঘটাই।
৩. ব্রা কখনো নোংরা হয় না।
এই কথাটি সব মেয়ে বিশ্বাস করে যে, ব্রা নোংরা হয় না তাই অনেক দিন না কাঁচলেও চলে যায়। যদিও আমাদের প্রচুর ব্রা আছে তাও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আমরা একই ব্রা বার বার পড়ি।
৪. আমরা কাঁদার সময়ও নিজেদের সুন্দর দেখতে চাই।
আমরা কাঁদার সময়ও নিজেদের বার বার আয়নাতে দেখার চেষ্ঠা করি আমাদের কি রকম দেখাচ্ছে বোঝার জন্য। হ্যাঁ! আমরা কাঁদার সময় নিজেদের সেলফিও তুলি। ভেজা চোখ, লাল নাকে আমাদের সেক্সি দেখায় না, তবুও।
৫. আমাদের পোশাক আমাদের ওয়াক্সিং করার সময়ের ওপর নির্ভর করে।
আমরা সেভিং এবং ওয়াক্সিং খুবই অপছন্দ করি। এগুলি আমরা তখনই করি যখন এগুলি খুব প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে, না হলে আমরা পান্ট এবং গেঞ্জি পড়েই কাটিয়ে দিই। আমরা শীতকাল খুব ভালবাসি কারণ এইসময় সেভিং ও ওয়াক্সিং করার কনো দরকার হয় না।
৬. মেয়েরাও নাক খোটে।
আমাদের গা ঘিনঘিন করে যখন কেউ আমাদের সামনে নাক খোটে কিন্তু আমরাও একই কাজ করি। কিন্তু আমরা তা করি সবার অলক্ষ্যে যখন আমাদের আশেপাশে কেউ থাকে না।
৭. আমরা রোজ স্নান করি না।
এই পৃথিবীতে কে রোজ স্নান করে? আমাদের হাইজিন অনেক সময়ই প্রশ্নের সামনে পড়ে যখন আমরা বেশ কিছুদিন স্নান না করেই কাটাই, তারপর মাথা পাগলের মত চুলকাই এবং মাথা থেকে বরফের মত খুসকি ঝরে পড়া দেখি তারপর ড্রাই স্যাম্পু ব্যবহার করে নিজেদের সান্তনা দিই।
স্নান করার সময় নেই? কোন ব্যাপার নয়, বগল ধুয়ে পারফিউম লাগিয়ে নাও। মুখ ধোয়ার সময় নেই? কোন ব্যাপার নয়, কালকের মেকআপের ওপরই আজ আবার নতুন করে মেক আপ লাগিয়ে নাও।
৮. Poop স্টিগমা
মেয়ে আর পাবলিক ওয়াসরুম; না কখনো মেনে নেওয়া যায় না। আমরা পাবলিক ওয়াসরুমকে ঘৃণা করি এবং এটাকে কখনো ব্যবহার করার কথা অস্বীকার করি।
পাবলিক ওয়াসরুমে পায়খানা করার সময় যদি পাশের ওয়াসরুমে কেউ আসে তাহলে আমরা জোর করে চেপে বসে থাকি যতক্ষণ না পাশের ওয়াসরুমের লোকটি চলে যাচ্ছে। যদিও আমাদের কেউ দেখতে পাচ্ছে না তবুও পুরো ব্যাপারটাই আমাদের কেমন অস্বস্তি হয়।
৯. কাপড় কাছতে গা ঘিনঘিন করে।
আমরা সবাই অন্তর্বাস উল্টে বোঝার চেষ্ঠা করি যে কোন বাজে গন্ধ আসছে না তো বা সেটাকে আরও কয়েক বার পড়া যেতে পারে । কিন্তু এত কিছুর পরেও আমরা কাপড় কাছতে চাই না।
১০. যে লোকেদের পচ্ছন্দ নয় তাদের সাথে মনে মনে মিথ্যা ঝগড়া করা।
মেয়েরা সাধারণত সবসময় কথা কাটাকাটি করতে তৈরি থাকে। আমরা ঝগড়া হওয়ার অপেক্ষায় থাকি। আমরা কথা কাটাকাটির জন্যই বেঁচে আছি। আর অবশ্যই আমরা ডাইলগ দেওয়ার জন্য সবসময় তৈরি থাকি। আমরা যাকে অপচ্ছন্দ করি তার সাথে ঝগড়া করার কথা আগে থেকেই ভেবে রাখি! আমরা এদের অপমান করার কোন সুযোগই ছাড়ি না।
১১. আমরা যা ভাবি তার উল্টো টাই বলি।
এটা অনেক পুরানো রহস্য যেটা সবাই জানে। কিন্তু মেয়েরা তা কোন দিনই মানবে না। আমরা আশা করি অন্য লোকটি টেলিপ্যাথির জোরে সব জেনে যাবে আমরা কি ভাবছি। আমাদের কিছু জিজ্ঞাস করলে সোজা উত্তর কোন দিন আশা কর না।
১২. রোম্যান্টিক সিনেমা দেখে আমরা কেঁদে ফেলি।
আমরা ওপরে যতই কাঠিন্য দেখাই না কেন, মনের ভিতরে আমরা কাঁদি, বিশেষ করে রোম্যান্টিক সিনেমা, করুণ পরিণতি বা আবেগ প্রবণ কোন ঘটনা সিনেমায় দেখালে।
১৩. আমরা চিড়ুনি পরিষ্কার করি না।
হ্যাঁ! আমরা পরিষ্কার করি না। আমরা আশা করি চিড়ুনিটা নিজে থেকেই পরিষ্কার হয়ে যাবে এবং সেটা যখন হয় না, তখন আমরা একটা নতুন চিড়ুনি কিনে নিই।
১৪. বয়ফ্রেন্ডের থেকে একটা মেসেজ পেলে সেটাকে হাজার বার পড়া।
মেয়েরা তাদের বয়ফ্রেন্ডের পাঠানো মেসেজের ছোট ছোট ব্যাপারেও খুব দুঃখ পায়। মেয়েরা একটা ছোট মেসেজই হাজার বার ধরে পড়বে, তারপর আবার সেটার হাজার রকম মানে ভেবে রাখবে।
১৫. এই পোস্টা পড়বে, সব কিছু অস্বীকার করবে। আবার পাঁচ মিনিট বাদে নিজের মনে সব কিছু মেনে নেবে।
মেয়েরা তোমরা সবাই জানো, আমরা সবাই এই রকম করে থাকি এবং কখনও তা স্বীকার করি না এবং অদূর ভবিষ্যৎতেও স্বীকার করার কোন ইচ্ছা নেই।