bnpফড়িং মিডিয়া – ন্যাশনাল ডেস্ক: বিএনপি একটি অধ্যাধুনিক জনগণের দল, একে ধ্বংস করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দলের ৩৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মনতব্য করেন।

জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্তদের জীবিত ধরা হচ্ছে না কেন-সেই প্রশ্ন তুলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, যাদের ধরা হচ্ছে এরা আসলেই কী না। তিনি বলেন, যেখানে ন্যায়বিচার থাকেনা, গণতন্ত্র থাকেনা, সেখানে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে।

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের শাসনকে ‘দুঃশাসনের’ হিসেবে তুলে ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সে সময় গণতন্ত্র শেষ করে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। পরে জিয়াউর রহমান দেশে গণতন্ত্রই শুধু ফিরিয়ে আনলেন না, বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনলেন। সবার সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করলেন।

তিনি আরাে বলেন, স্বাধীন দেশকে যেভাবে গড়ে তোলার কথা, সে সময়কার সরকার করতে ব্যর্থ হয়। এতে অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে নেমে এসেছে অরাজকতা। সৃষ্টি করতে হয়েছে রক্ষীবাহিনী। তখন দেশ নিয়ে কোনো চিন্তা ছিল না। তারা কেবল ভেবেছিলেন- ‘আমরা ক্ষমতায় আছি, যা ইচ্ছে তাই করতে পারি’।

খালেদা জিয়া অভিযোগ করে বলেন, মুজিব সরকার দেশ থেকে গণতন্ত্র দূর করে বাকশাল কায়েম করলো। জিয়াউর রহমান আসার পর গণতন্ত্র আনলেন। আপনারা যদি সে সময়কার (জিয়ার আমলের) মন্ত্রিসভার ক্যান্ডিডেটদের দেখেন, দেখবেন তারা সবাই সুযোগ্য ও ভালো লোক ছিলেন। যে দেশে গণতন্ত্র হারিয়ে গিয়েছিল সেই দেশে তিনি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনলেন। তিনি সবাইকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিনিই নির্বাচন দেওয়া শুরু করলেন। জিয়াউর রহমান সবার সঙ্গে কথা বলতেন। কৃষক, শ্রমিক থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবী- সবার কথা তিনি শুনতেন।

দেশে উন্নয়নের কথা বলে আওয়ামী লীগ সরকার কোনো উন্নয়নই করেনি উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, তারা যেসব চুক্তিগুলো করেছে- করে যাচ্ছে তার সবই দেশের স্বার্থবিরোধী, জনবিরোধী।তারা একেকটা উন্নয়ন প্রকল্প নেয়, আর অর্থ বাড়ে। নেতারা কমিশন খায় এবং টাকা চলে যায় দেশের বাইরে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুলের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।