ফড়িং মিডিয়া – অনলাইন ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু সেতুর দক্ষিন দিকে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার যমুনা নদীর গরিলাবাড়ি বাঁধ এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে।মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বাঁধের এক হাজার মিটার ধসে যমুনার পেটে চলে গেছে। এতে বাঁধের অংশের বেশ কয়েকটি ব্লকও ধসে যায়।

জানা যায়, ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ে কালিহাতী উপজেলার গরিলাবাড়ি এলাকায় সেতুর দক্ষিণে গাইড বাঁধে কয়েকটি গ্রাম রক্ষার্থে যমুনা নদীতে সিসি ব্লক ও কার্পেটিং করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)।

দক্ষিণ বেলটিয়া গ্রামের আব্দুল আলীম, চাঁন মিয়া সিকদারসহ এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাঁধের অদুরবর্তী স্থানে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে এ বাঁধে ধস নেমেছে। তারা জানান বাঁধটি পুরোপুরি ভেঙে পড়লে টাঙ্গাইলের বিস্তীর্ণ এলাকায় আবারও বন্যা দেখা দেবে।

বঙ্গবন্ধু সেতু পুর্বপ্রান্তে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বিবিএ) সাইট অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহীন হোসেন জানান, সেতুর দক্ষিণের গাইড বাঁধের অংশে ভাঙন শুরু হয়েছে।

বিবিএর সাইট অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী মো. ওয়াসিম আলী জানান, মূল সেতুর বাইরে ধসের ঘটনা ঘটেছে। রাস্তা ভেঙে যায়নি। ধসের অংশটুকু সেতুর মধ্যে পড়ে না।

এদিকে টাঙ্গাইলের পশ্চিমাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও জেলার পূর্বাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে। উজানের পানি নেমে ঘাটাইল, কালিহাতী, বাসাইল ও সখীপুর উপজেলার নিচু এলাকায় ঢুকছে।

জানা গেছে, ঘাটাইল, কালিহাতী ও সখীপুর উপজেলার পাহাড়িয়া এলাকার পশ্চিমে নিচু বসতিতে উজানের পানি নেমে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ফলে ওইসব এলাকার পাকা সড়কে পানি উঠেছে।

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের এমপি হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারি মঙ্গল ও বুধবার নৌকা নিয়ে ওইসব এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি স্থানীয়দের ধৈর্য ধরে বন্যা মোকাবেলা করার জন্য উৎসাহ দিচ্ছেন।