ফড়িং মিডিয়া – অনলাইন ডেস্ক: নড়াইলের নড়াগাতি থানার মাওলী এলাকায় এসিড হামলায় দগ্ধ হয়েছেন তানজিলা নামে এক গৃহবধূ। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর রাতেই খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে তাকে।

এসিড হামলায় দগ্ধ তানজিলা দুই সন্তানের মা। তার ভাই আব্দুল হাই জানান, যৌতুকের দাবিতে তার বোনের ওপর নির্যাতন করতো স্বামী মনিরসহ শ্বশুর পক্ষের লোকজন। প্রথম দফায় নির্যাতনের পর তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন ওই নারীর স্বজনরা। তখন মনির ক্ষমা চাইলে মামলাটি প্রত্যাহার করা হয়। এরপর স্ত্রীকে বাড়িতে নেয় সে।

কিছুদিন পর শ্বশুরবাড়িতে আবারও যৌতুকের দাবিতে তানজিলার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। এ কারণে তিনি বাবার বাড়ি চলে আসেন এবং আবারও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সম্প্রতি মনিরসহ আসামিরা হাইকোর্ট থেকে জামিন নেয়।

এরপরই শুক্রবার পরিকল্পিতভাবে ওই নারীর ওপর এসিড নিক্ষেপ করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। তাদের দাবি, দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল যোগে এসে তানজিলার দিকে এসিড ছুড়ে মারে। এরপর গভীর রাতে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।

নড়াইলের নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, ওই গৃহবধূর ওপর দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করা হয়েছে। এ ঘটনার পর তার শ্বশুর আবুল কালাম, শাশুড়ি ও ননদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মামলা দায়েরের পর তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তানজিলা এখন খুলনায় চিকিৎসাধীন।

ওসি আরো জানান, মনিরের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে আগেও মামলা রয়েছে। তারই প্ররোচনায় শুক্রবার রাতে তানজিলার ওপর দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানতে পেরেছি।