ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝপথ থেকে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে দেশে ফিরতে হয়েছিল বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা পেসার তাসকিন আহমেদকে। দেশে ফিরেই নিজের বোলিং অ্যাকশন শুধরানোর কাজ করে দিয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন অ্যাকশন নিয়ে কাজ করার পর রোববার বিসিবির অধীনে প্রথম পেশাদারভাবে পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন তাসকিন। পরীক্ষার পর তার বোলিংয়ে তেমন সমস্যা খুঁজে পায়নি বলে জানিয়েছে বোলিং রিভিউ কমিটি। খালি চোখে এ পর্যবেক্ষণ করা হলেও তাসকিনের বোলিংয়ের সমস্যা কেটে গেছে বলে মনে করছেন তারা।

এদিন ঢাকা মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরে তাসকিনের বোলিংয়ের ভিডিও ফুটেজ নেওয়ার পর সন্দেহযুক্ত বোলারদের জন্য গঠিত বিশেষ বোলিং রিভিউ কমিটির সদস্য ও সাবেক স্পিনার ওমর খালেদ রুমি বলেন, ‘খালি চোখে যা দেখেছি, মনে হচ্ছে একদম পারফেক্ট। কোনো সমস্যা নেই। আগে যা দেখছি, তখনও সমস্যা মনে হয়নি। জানি না কেন সন্দেহ করেছিল। যাই হোক, আজকে যা দেখলাম, একদম পারফেক্ট। বাউন্সারে সমস্যা ছিল বলা হচ্ছে, আজকে দেখলাম নির্মল, একেবারে সুন্দর। কোনো সমস্যা দেখছি না। মাঠে নামলেও কোনো সমস্যা থাকবে বলে মনে হয় না তাসকিনের।’

তবে রুমির মত এতটা উচ্ছ্বসিত নন বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স অ্যানালিস্ট ও সাবেক উইকেটরক্ষক নাসির আহমেদ নাসু। খালি চোখে তার দৃষ্টিতেও তাসকিনের বোলিং নির্ভুল মনে হয়েছে। তবে অ্যানালাইসিস করেই সব কিছু নিশ্চিত হতে চান তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেক দিন রিহ্যাবের পর আজকে আমরা প্রফেশনালভাবে ওর ফুটেজ নিলাম। এগুলো আমরা অ্যানালাইসিস করব। বোলিং টেস্টের জন্য পাঠানোর আগে দেখে নিচ্ছি কি অবস্থা। যে সমস্ত রিহ্যাব করা হয়েছে, সেগুলো দেখে নিচ্ছি কি অবস্থায় আছে। তবে সাদা চোখে ভালোই মনে হয়েছে। ওভাবে তো বলা কঠিন। যদিও খালি চোখে অনেক ভালো মনে হচ্ছে।’

taskinরোববারের করা ফুটেজগুলো যাচাই করার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরীক্ষার জন্য কতটা প্রস্তুত তাসকিন। আইসিসির পরীক্ষাগারে তৃতীয় মাত্রার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় বলে একটু বেশি সাবধানী তারা। সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে চান না বোলিং রিভিউ কমিটি। এ প্রসঙ্গে নাসু আরও বলেন, ‘এখানে প্রযুক্তিগত কিছু ব্যাপার আছে। এখানে আমরা টু-ডি ক্যামেরায় দেখছি, ওখানে আইসিসি দেখবে থ্রি-ডি ক্যামেরায়। প্রযুক্তিগত কিছু পার্থক্য থাকবেই। কাজেই শতভাগ ধারণা করা যাবে না। তবে আমরা একটা জাজ করতে পারব যে সে কতটুকু উন্নতি করেছে। যেগুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে, সেগুলো কতটা আয়ত্ব করতে পেরেছে।’

নিজের বোলিং নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তাসকিনও। বড় ধরণের কোন সমস্যা না থাকায় শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন এ পেসার। তবে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে পরীক্ষাগারে যেতে চান তিনিও। কেননা আগামী পরীক্ষায় কোন ত্রুটি ধরা পড়লে এক বছরের জন্য বোলিং নিষিদ্ধ হয়ে যাবে এ ফাস্ট বোলারের।

সূত্র : জাগোনিউজ