ফড়িং মিডিয়া – অনলাইন ডেস্ক: ডিজিটাল বিশ্ব। উন্নয়নের একের পর এক ধাপ পেরিয়ে চলেছে। এখনও শহর কিংবা মফস্বলের ওষুধের দোকানে গিয়ে নিচু গলায় অনেকে বলে থাকেন – ঐ জিনিসটা দিন। অনেকের আবার চেনা দোকানে ইশারাতেই কাজ হয়ে যায়। অনেকের ভরসা স্বামী অথবা প্রেমিক। একটু গ্রামের দিকে গেলে আবার এসবেরও বালাই নেই।

এ তো না হয় গেল আজকের চালচিত্র। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলতেই থাকবে৷ নারীবাদীরা আবার বিপ্লব করতে ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, স্ন্যাপচ্যাটের সাহায্য নেবেন। কিন্তু সভ্যতার দূর-দূরান্তেও যখন এ সবের চিহ্নটুকু ছিল না৷ যখন প্রকাশ্যে নারীর অবগুণ্ঠন ছাড়া বেরনোও নিষিদ্ধ ছিল। তখন ঋতুস্রাবের এই পাঁচটা দিন কী করতেন মহিলারা? কেমন করে সামলাতেন সবকিছু? প্রশ্নের উত্তরে বেশ কিছু আজব উত্তরে মিলেছে –

১)  প্যাপিরাস – এক ধরনের মোটা কাগজ। যা প্রাচীন মিশরবাসী ব্যবহার করতেন লেখার জন্য। এই কাগজই সে সময়ের মহিলা ভিজিয়ে নরম করে নিতেন আর তা ঋতুস্রাবের সময় ব্যবহার করতেন।

২) শৈবাল – হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। প্রাচীনকালে মহিলার ঋতুস্রাবের সময় শৈবাল ব্যবহার করতেন। কিছু গাছ একত্রিত করে একটি কাপড়ের ভিতরে পুরে তা সেলাই করে নেওয়া হত৷ তাই কাজে আসত।

৩)  বালি – এই পদ্ধতি ব্যবহার করতেন চিনের বাসিন্দারা। একটি কাপড়ে প্রচুর বালি পুরে নেওয়া হত। যখন কাজ শেষ হয়ে যেত বালিগুলি ফেলে দিয়ে কাপড়টি ধুয়ে নেওয়া হত।

৪) ঘাস – শৈবাল বা বালির মতোই ঘাস ও কাপড়ে ভরে ব্যবহার করা হত। এই উপায়ে ঋতুস্রাবের মোকাবিলা সাধারণত করতেন। যদিও এই উপায় একেবারেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়।

৫) ব্যান্ডেজ – এই পদ্ধতি তর্কসাপেক্ষভাবে ফ্রান্সের নার্সরা আবিষ্কার করেছিলেন। যখন তাঁরা দেখলেন সৈনিকের রক্ত অনায়াসেই ব্যান্ডেজগুলি শুষে নিতে পারছে তখনই ঋতুস্রাবের সময় এগুলি ব্যবহার করার কথা মাথায় আসে তাঁদের।

৬)  কাঠ – হ্যাঁ, অবিশ্বাস্য মনে হলেও প্রাচীন গ্রিসের বাসিন্দারা এই পদ্ধতিই ব্যবহার করতেন। ছোট কাঠের টুকরো নিয়ে তার উপরে পশম বা কাপড়ের সূক্ষ্ম রোঁয়া লাগিয়ে নিতেন। আর সেটি বেশ কষ্টদায়ক প্রক্রিয়া।

এছাড়াও বিভিন্ন সময় মহিলাদের মাসের এই পাঁচ দিন কাপড়, তুলো কিংবা পশুর ছালের উপর নির্ভরশীল থাকতে হত। যাই হোক, আপাতত আপনাদের কাছে উত্তম সমাধান রয়েছে মাসের এই পাঁচটা দিন মোকাবিলা করার জন্য।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন