mashrafiফড়িং মিডিয়া – স্পোর্টস ডেস্ক: সেই ২০০৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর। নড়াইল শহরের রূপগঞ্জ উৎসব কমিউনিটি সেন্টারে জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে মাশরাফি বিন মোর্তজা ও নড়াইলের মেয়ে সুমনা হক সুমির সঙ্গে শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয়। পরের দিন ৮ সেপ্টেম্বর চিত্রা নদীর কুলঘেঁষে গড়ে ওঠা চিত্রা রিসোর্টে সম্পন্ন হয় জাকজমকপূর্ণ বৌভাত অনুষ্ঠান।

সেখানে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচ, খেলোয়াড়সহ নড়াইল জেলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি রূপ নিয়েছিল মিলন মেলায়। মাশরাফির বিয়ের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে লেখা ছিল ‘‘ উপহার বর্জনীয়’’। সে কারণে অন্য সব বিয়ের অনুষ্ঠানের মতো কাউকে গিফটবক্স হাতে নিয়ে আসতে হয়নি।

সেই ২০০৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর থেকে আজ ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর। দেখতে দেখতে কেটে গেল ১০টি বছর। আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ সবকিছুর মধ্যদিয়ে অতিবাহিত করেছে এই জুটি ১০টি বছর।

ক্রিকেট মাঠে মাশরাফির সাফল্যে কখনো টিভির পর্দায় আবার কখনো মাঠে বসে উল্লাসে মেতেছে স্ত্রী সুমনা হক সুমিসহ তার পরিবারের সদস্যসহ দেশবাসী। আবার কখনো ইনজুরিতে পড়লে কেঁদেছেন স্ত্রী সুমিসহ পরিবারের সদস্য ও দেশবাসী।

নড়াইল শহরের মহিষখো এলাকার বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা স্বপনের যোগ্য সন্তান মাশরাফির বিয়ে হয়েছে এক কিলোমিটার দূরে মহিষখোলা এলাকার মরহুম জিল্লুর রহমানের ছোট মেয়ে সুমনা হক সুমির সাথে। দাম্পত্য জীবনে মাশরাফি জুটির দুটি সন্তান রয়েছে। বড় সন্তান হুমায়রা (৫) এবং ছোট ছেলে সাহেল (২)।