ফড়িং মিডিয়া – অনলাইন ডেস্ক: চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক পরিচয় দিয়ে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালক এমএ হান্নানের কাছ থেকে জাতীয় শোক দিবসের জন্যে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে চাঁদপুর ডিবি পুলিশ। বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে জেলা ডিবি পুলিশের এসআই আহসানুজ্জামান লাবু সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করেন।
গত ২১ এপ্রিল রাতে তাদেরকে ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়। আটক হওয়ার পর আসামীরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানান এসআই আহসানুজ্জামান। ২২ এপ্রিল তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এ তিন আসামী চাঁদপুর সদর মডেল থানার মামলা নং-১৭-এর পলাতক আসামী ফরিদগঞ্জের মোঃ বিল্লাল হোসেনকে ঢাকার তুরাগ থানা এলাকার পাকুরিয়া এলাকা থেকে, একই থানায় দায়ের করা ওই প্রতারণা মামলার (নং- ৪৮) পলাতক আসামী সিরাজগঞ্জ জেলার মৃত কলিমউদ্দিনের মেয়ে মোছাঃ কুমকুম নেছা (৩৬) কেও ঢাকার তুরাগ থানার পাকুরিয়া এলাকা থেকে এবং মামলা নং-৩-এর পলাতক আসামী উজ্জ্বল (৩২)কে ঢাকা যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে আটক করা হয়।
ডিবি পুলিশ জানায়, গত বছরের ১৩ আগস্ট মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালক এমএ হান্নানের কাছে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক পরিচয় দিয়ে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান করার জন্যে দুই লাখ টাকা চাওয়া হয় এবং তিনটি বিকাশ নাম্বার দেয়া হয়। এমএ হান্নান সরল বিশ্বাসে মার্কেন্টাইল ব্যাংক চাঁদপুর শাখার ম্যানেজার ফয়সাল হায়দার চৌধুরীকে ওই প্রতারকের দেয়া তিনটি বিকাশ নাম্বার দিয়ে দুই লাখ টাকা পাঠাতে বলে দেন। নির্দেশ মতে ম্যানেজার ফয়সাল চৌধুরী তাই করলেন।
পরবর্তীতে ফয়সাল চৌধুরী জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাৎ করে টাকা প্রাপ্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান। তখনই প্রতারণার বিষয়টি প্রকাশ পায়। পরে এ ঘটনায় ম্যানেজার ফয়সাল চৌধুরী বাদী হয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা করলে (মামলা নং ৪৮, তারিখ ১৮/৮/২০১৬) মামলাটি ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর সূত্র ধরেই ঘটনার সাথে জড়িত কুমকুম নেছাকে আটক করতে ডিবির এসআই আহসানুজ্জামান লাবু গত ১৯ মার্চ সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানা এলাকায় অভিযান চালান। কিন্তু তখন এ আসামী কৌশলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে পুনরায় বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ২১ এপ্রিল রাতে কুমকুম নেছাকে ঢাকার তুরাগ থানার পাকুরিয়া এলাকা থেকে আটক করা হয়। কুমকুম নেছা স্বীকার করেছে সে এবং তার ভাই ইমদাদুল হক সোহেল দু’জনে মিলে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতারণা করে প্রচুর টাকা তারা এভাবে হাতিয়ে নেয়।
তার ভাই সোহেল ঢাকা আরামবাগ ফকিরাপুল এলাকার শিল্পপতি ফরিদগন্জের এমএ হান্নানের কাছে চাঁদপুরের ডিসি পরিচয় দিয়ে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। সোহেল বিভিন্ন সময় নিজেকে উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, কখনো বড় ব্যবসায়ী, শিল্পপতি পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছে।চাঁদপুরের ডিসি পরিচয়দানকারী মোবাইল নাম্বারটি প্রতারক সোহেলের বোন কুমকুম-এর নামে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন করা।