ফড়িং মিডিয়া – অনলাইন ডেস্ক: গর্ভকালীন ওজন কমাতে…

হাঁটা

ওজন কমাতে যে মায়েরা হাঁটবেন, তাঁদের এ বিষয়ে সিরিয়াস থাকতে হবে। গবেষণায় বলা হয়, আপনি চাইলেই প্রতি ১০ মিনিটের হাঁটায় ৮০ থেকে ১০০ ক্যালরি ঝরিয়ে ফেলতে পারেন। ২০১৫ সালের আরেক গবেষণায় বলা হয়, গর্ভকালীন ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় ব্যায়ামের চেয়ে হাঁটাই সবচেয়ে বেশি কার্যকর।

স্ট্রেনদেনিং মুভ

জন্মদানের পর পেটের পেশির স্থিতিস্থাপকতা বিগড়ে যায়। এগুলো প্রসারিত হয় এবং আগের অবস্থায় শিগগিরই ফিরে আসে না। এ সময় ‘স্ট্রেনদেনিং মুভ’-এর মাধ্যমে সহজেই পুরনো অবস্থায় ফিরতে পারেন। মেঝেতে সটান শুয়ে পড়ে দুই পা ও পিঠে ভর দিয়ে পেট ওপরের দিকে তোলার ব্যায়াম কিন্তু বেশ কাজের।

সাঁতার

আরেকটি ‘বিস্ময়কর’ ব্যায়াম, যা নিয়মিত করলে এর সুফলের বয়ান শেষ করা যাবে না। পুকুরে বা সুইমিং পুলে সাঁতার শুরু করে দিন। এ কাজের মাধ্যমে দেহের প্রতিটি অংশের বাড়তি ক্যালরিকে বিদায় জানানো সম্ভব। দেহের সংযোগস্থলগুলো আবার আগের মতো সচল হয়ে উঠবে। বাড়তি ওজন তো কমবেই। ওমেন্স হেলথ এক গবেষণার মাধ্যমে জানায়, সোজাসাপ্টা সাঁতারে ৫০০ ক্যালরি চলে যাবে। ধীরে ধীরে বিভিন্ন ধরনের সাঁতারের মাধ্যমে আরো কঠিন ব্যায়ামের দিকে যেতে পারেন।

সাইক্লিং

কিছুক্ষণ সাইকেল চালনা কিন্তু বেশ উপকারী ব্যায়াম। ‘ফিট প্রেগন্যান্সি’ এক প্রতিবেদনে জানায়, মা হওয়ার এক মাস পর সাইকেল চালানো শুরু করলে ব্যাপক উপকৃত হবেন। ওজন কমানোসহ ফিটনেস চলে আসবে শিগগিরই।

স্ট্রেন্থ ট্রেনিং

হালকা ব্যায়াম থেকে এবার সময় হয়েছে ভারী ব্যায়াম করার। তবে শুরু করার আগে আপনার ফিটনেস সম্পর্কে ধারণা নিন বিশেষজ্ঞের কাছে। সন্তান জন্মের পর চলাফেরায় বেশ ফিট না হলে এই ব্যায়াম ঝুঁকিপূর্ণ। আর একটি বিষয় বলা জরুরি, ওপরের সব উপদেশ মেনেও কোনো লাভ হবে না, যদি না খাবারের তালিকা না থাকে।