ফড়িং মিডিয়া – ন্যাশনাল ডেস্ক: ইন্টারপোলের প্রতিবেদন অনুসারে সুন্দরবনের বাঘ হত্যা ও চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক এবং বিচারপতি জে এন দেব চৌধুরীর সমন্বয় গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রবিবার এ আদেশ দেন।
আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি, কোস্টগার্ডের ডিজি, খুলনার ডিসি, খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তাসহ সংশিষ্টদের এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ‘বাঘ হত্যা ও চোরাচালানে রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা’ শিরোনামে ২৯ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আলী খান।
এরপর আদালত আদেশ দেন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সুন্দরবনের বাঘ হত্যায় একটি সংঘবদ্ধ চক্র সক্রিয়। এই চক্র সুন্দরবনে বাঘ হত্যায় অস্ত্র সরবরাহ, হত্যা শেষে বাঘের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও চামড়া চোরাচালানের কাজ করে। সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকার সরকারদলীয় একজন সংসদ সদস্য, ইউনিয়ন পরিষদের তিনজন চেয়ারম্যান এবং প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বেশ কয়েকজন নেতা জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত জানুয়ারিতে ইন্টারপোল বাংলাদেশ সরকারের কাছে সুন্দরবনের বাঘ হত্যা এবং ক্ষুদ্র অস্ত্রের সরবরাহ নিয়ে দুটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সুন্দরবন থেকে বাঘ হত্যা করে এর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ভারতে পাচার করা হয়।