rashiমানুষে মানুষে ফারাক তৈরি করে দেয় রাশি। আপনার জন্মতারিখ অনুসারে নির্দিষ্ট হয়ে আছে আপনার রাশি। আর সেই সঙ্গে আপনার বৈশিষ্ট্য।

মেষ (২১ মার্চ – ২০ এপ্রিল)

মেষ রাশির পুরুষের ধৈর্য একটু কম। ব্যক্তিগত জীবন বা কর্মজীবনে, যে কোনও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারে। যে কোনও প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে তৈরি। এমনিতে নম্র, ভদ্র হলেও ভালমানুষি দেখানোর কারবার নেই। নিজের মর্জি মতো চলতে ভালবাসেন। একটা ‘খারাপ ছেলে’ভাব বজায় রাখে যাতে বহু নারী আকৃষ্ট হয়।

বৃষ (২১ এপ্রিল – ২১ মে)

নিজের কথাই শেষ কথা। সিদ্ধান্ত থেকে একচুল নড়তে রাজি নন বৃষ। কাজের প্রতি মনোযোগ অনেক বেশি। একগুঁয়ে হলেও বিচক্ষণ এবং প্রাচীন মানসিকতার। জীবনের লক্ষ্য সুখে ঘর-সংসার করা। সাধারণ জীবন-যাপনে বিশ্বাসী। সংসারী এবং গোছানো স্বভাবের।

মিথুন (২২ মে – ২১ জুন)

কথা-বার্তায় চমৎকার। কথার জাল বুনে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়। মিথুন রাশির পুরুষের কথায় বুদ্ধির প্রকাশ দেখা যায়। এই রাশির জাতকের সঙ্গে সময় কেটে যায় খুব ভাল। অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারে। তবে একটু ভুলোমনা। সহজে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। তার মেজাজও বদলায় দ্রুত। রেগে গিয়েও মুহূর্তে ভালবাসতে জানে।

কর্কট (২২ জুন – ২২ জুলাই)

কর্কট রাশির পুরুষ একটু লাজুক এবং রহস্যময়। প্রথম দেখায় খুব চুপচাপ মনে হতে পারে কিন্তু কাছাকাছি আসলে চেন যায়। খুব ঘনিষ্ঠ কেউ না হলে নিজের খোলস থেকে বের হন না। জোর করে কোনও কিছু করানো যায় না। কষ্ট পেলে নিজেকে গুটিয়ে নেয়। অন্যের মন বুঝে নেওয়ার ক্ষমতা দুর্দান্ত।

সিংহ (২৩ জুলাই – ২৩ আগস্ট)

সিংহ রাশির পুরুষের নিজেদের উপস্থিতি প্রকাশ করতে ভালবাসে। যে কোনও পরিবেশে হাঁকডাকের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেয় সে আছে। জন্মগতভাবেই সিংহ পুরুষ নেতৃত্ব দিতে পারদর্শী। অন্যের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে ভালবাসে। বন্ধুমহলে সুপরিচিত এবং বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকেন। একটু একগুঁয়ে। অন্যের পরামর্শে কান দেয় না।

কন্যা (২৪ আগস্ট – ২৩ সেপ্টেম্বর)

কন্যা রাশির পুরুষ কঠোর পরিশ্রমী। যে কোনও কাজ সম্পূর্ণ না করে হাল ছাড়েন না। কাজ নিখুঁত করে করতেও কন্যা রাশির তুলনা নেই। খুঁটিনাটি বিষয়েও পূর্ণ মনোযোগ থাকে। তবে মাঝে মাঝে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। আবার কাজের মধ্য দিয়েই আত্মবিশ্বাস ফিরে পায়।

তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর – ২৩ অক্টোবর)

সবার জন্য সব সময়ে চিন্তা করে তুলা রাশির পুরুষ। সবাইকেই খুশি রাখতে চায়। শান্তিপ্রিয় এবং সবার মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখতে চেষ্টা করে। সব দিক বাঁচাতে গিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। যে কোনও পরামর্শের জন্য তুলা রাশির পুরুষ বন্ধুর সাহায্য নেওয়া যায়। সভ্য ও রুচিশীল পুরুষের সব গুনই থাকে এদের।

বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর – ২২ নভেম্বর)

বৃশ্চিক রাশির পুরুষকে কখনও তুচ্ছ জ্ঞান করতে নেই। এরা একটু একা একা থাকতে পছন্দ করে। তবে অসামাজিক নয়। বৃশ্চিক পুরুষ নিজের ভাগ্য নিজে গড়ে নেওয়ায় বিশ্বাসী। নিজের জীবনও পরিচালনা করে নিজের নিয়মে। স্বাধীনচেতা, নির্ভীক, কঠোর পরিশ্রমী এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী এই পুরুষ সহজেই জীবনে এগিয়ে যেতে পারে।

ধনু (২৩ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর)

ধনু রাশির পুরুষ মানে নিরন্তর সত্য, সৌন্দর্য এবং জ্ঞানে খোঁজ। সম্পর্কের শৃঙ্খলে বেঁধে রাখতে গেলে নিজেদের বন্দি মনে করে। কিছুটা দার্শনিক মনোভাবের। অন্যের কথা মন দিয়ে শুনতে পছন্দ করে। জীবনে কোনও সিদ্ধান্তহীনতার জায়গা নেই। যে কোনও পরিস্থিতিতে আশাবাদী।

মকর (২২ ডিসেম্বর – ২০ জানুয়ারি)

মকর পুরুষকে আপাতদৃষ্টিতে শান্তশিষ্ট এবং চুপচাপ মনে হবে। কিন্তু এটা বাহ্যিক রূপ। চিন্তাভাবনা চলে ঝড়ের গতিতে। জীবনে যতই বাধা আসুক, ধীরস্থিরভাবে তা অতিক্রম করে মকর পুরুষ। অধ্যাবসায় হল সবথেকে বড় গুন। সাফল্য অর্জনের দিকেই থাকে মন থাকে এই পুরুষের। তবে ঝুঁকি নিতে পছন্দ করে না, গোলমাল থেকে দূরে থাকে।

কুম্ভ (২১ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি)

কুম্ভ রাশির পুরুষকে প্রথম দেখাতেই আন্তরিক মনে হয়। হাসিখুশি মুখের সঙ্গে থাকে প্রখর বুদ্ধি। সৃজনশীলতার প্রতি আকর্ষণ থাকে। কুম্ভ পুরুষের অনেক বন্ধু থাকতে পারে। খুব খোলামেলা। সকলের প্রতি সহানুভূতিশীল। তবে অনেকেই এদের ঠিক বুঝতে পারে না। ঘনিষ্ঠদের প্রতি এদের আবেগ খুব বেশি হয়।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ)

মীন রাশির পুরুষের মধ্যে অন্যান্য রাশির বৈশিষ্ট্যও দেখা যায়। এরা সব কিছুর অন্তর্নিহিত অর্থ খুঁজতে চান। বাইরে থেকে শান্ত মনে হলেও এরা রহস্যময় হয়। এদের মনে কী চলছে সেটা অনেক সময়েই বোঝা যায় না। সৃজনশীলতার ক্ষেত্রে অন্যান্য রাশির তুলনায় মীন পুরুষের আগ্রহ বেশি হয়।