ফড়িং মিডিয়া – অনলাইন ডেস্ক: পারিবারিকভাবে বোনের প্রেমের সম্পর্ক ও বিয়ের সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেননি ভাই। তাই গোপনে আদালতে বিয়ে করতে গেলে বোন ও তার হবু স্বামীকে গুলি করে হত্যা করলেন তিনি।

ঘটনাটি পাকিস্তানের মুলতান হাইকোর্ট চত্বরের কাছে ঘটেছে। ওই ঘটনার পর খুনি ভাই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করেছে।

২২ বছরের মেয়েটির পরিবার এ দুজনের সম্পর্ক ও বিয়ের ইচ্ছা মেনে নেয়নি। তাই মঙ্গলবার পাকিস্তানের মুলতাই হাইকোর্টে বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে যাচ্ছিলেন তারা।

স্থানীয় পুলিশের প্রধান রাও তারিক জানান, আদালতে গিয়ে বিয়ের করার পরিকল্পনা কোনভাবে জানতে পারেন মেয়েটির ভাই। তিনি আদালতের কাছাকাছি অবস্থান নেন। মেয়েটি তার প্রেমিককে নিয়ে যখন আসেন, তখন সেখানেই গুলি করে হত্যা করা হয় তাদের।

সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা আশফাক গুজ্জার বলেন, মেয়েটি ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। আর ছেলেটিকে হাসপাতালে নিলে মারা যান।

এ বিয়ের কাজ সম্পন্নের জন্য যে আইনজীবী ছিলেন তিনিও আহত হয়েছেন। তাকে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

পাকিস্তানে প্রতিবছর শত শত নারী প্রাণ হারান তাদেরই আত্মীয়ের হাতে। রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারগুলোতে এ সমস্যা প্রবলভাবে দেখা দিয়েছে। পরিবারের সম্মানহানীকর কাজ করছে- এমন জেরে হত্যা করা হচ্ছে মেয়েদের।

গত বছরের জুলাই মাসে সোশ্যাল মিডিয়া তারকা কোয়ানদেল বালোচ খুনের ঘটনা এমনই এক উদাহরণ। তার ভাই এ হত্যার কথা স্বীকার করে।